রাবি ভিসির সাক্ষাৎকার নিলো তদন্ত কমিটি

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৮ মে ২০২১, ২১:৫০
অ- অ+

শেষ কর্মদিবসে বিতর্কিত গণনিয়োগ দেয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যদালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সাক্ষাৎকার নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।

শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে এই স্বাক্ষাৎকার নেয়া হয়। ভিসি ছাড়াও নিয়োগ সংশ্লিষ্ট আরও ১৫ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।

বিকাল ৪ টার পর প্রশাসনভবন থেকে বের হওয়ার মুখে তদন্ত কমিটির প্রধান ড. আলমগীর হোসেন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করেছে। সেই তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আমরা এখানে এসেছি। আমরা চেয়েছি যেনো খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে পারি।

কারও প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ নয় জানিয়ে ড. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় এটি। ড. শামসুজ্জোহার রক্তে ভেজা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেনো এমন কোনো কর্মকাণ্ড না হয় যার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র শিক্ষক থেকে শুরু করে এই এলাকার মানুষের মাথা নিচু না হয়। আমরা এই বিষয়টি সবার উপরে স্থান দেবো। একটা সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।

কাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. আলমগীর বলেন, শিক্ষামন্ত্রণালয় বলেছে এটি একটি নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ। সুতরাং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে সাক্ষাৎকারের আওতায় আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আমরা সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। দীর্ঘ সময় ধরে সদ্য প্রাক্তন উপাচার্য এর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে বলে জানান।

তিনি বলেন, আমরা কাগজপত্র দেখেছি। আমরা বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করবো তারপর আমাদের প্রতিবেদন শিক্ষামন্ত্রণালয়ে জমা দেব। আমরা চাই যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গবেষণা থেকে শুরু করে সকল কর্মকাণ্ড যাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু ও জাতিকে দিক নির্দেশনা দিবে।

এর আগে বিকাল ৩ টার দিকে উপাচার্যের সাক্ষাৎকার নেয়া শুরু হয়। ৪ টার দিকে প্রশাসন ভবন থেকে বের হন সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

ফেরার পথে তিনি এই নিয়োগ অবৈধ না দাবি করে বলেন, ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশে উপাচার্যকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেই ক্ষমতাবলে আমি নিয়োগ দিয়েছি। এটা আমি নিজ দায়িত্বে দিয়েছি। যদি নিয়োগ অবৈধ বলতে হয় তাহলে ৭৩ এর অধ্যাদেশের ওই সেকশনটি বাতিল করা হয়নি কেনো সেই প্রশ্ন রাখেন।

তিনি বলেন, যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা এই চাকরি ডিজার্ভ করেন। কারণ তারা আবেদন করেছে, অনেক পদের বিপরীতে ভাইবাসহ নিয়োগের কিছু কার্যক্রম হয়ে গেছিলো।

যারা নিয়োগ পেয়েছে তাদের মধ্যে কম সংখ্যক ছাত্রলীগ নেতা রয়েছে এটি ঠিক না বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, যারা নিয়োগ পেয়েছে তাদের সবাই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।

উপাচার্যের নিয়োগ তদন্তে সকাল পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের করা তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে আসেন কমিটির সদস্য এবং ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. জাকির হোসেন আখন্দ ও ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

তদন্তদল বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌঁছানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঙ্গে প্রথমে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সাথে সাক্ষাতের পর প্রক্টরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এরপর একে একে নিয়োগে সহযোগী সহকারী রেজিস্ট্রার তারিকুল আলম, পরিষদ শাখার কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ, সংস্থাপন শাখার প্রধান ইউসুফ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রত্যেকের থেকে লিখিত বক্তব্য নেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

এরপর সেখানে উপাচার্য জামাতা শাহেদ পারভেজের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। পরে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত বক্তব্য দেন শাহেদ পারভেজ। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিও তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮মে/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশ্বের ৪০০ উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫৭তম উত্তরা ইউনিভার্সিটি
লঙ্কানদের মাটিতে ইতিহাস গড়া জয় টাইগারদের
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ও ছবি ছড়াচ্ছে আ.লীগ: প্রেস উইং
গোপালগঞ্জে কড়াকড়ি কারফিউ চলছে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বলবৎ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা