শিল্পী সমিতি কেন পরীমনিকে সহায়তা করল না?

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ জুন ২০২১, ২২:৪২ | প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২১, ২২:২০

শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযোগ জানিয়েও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে কোনো সহায়তা পাননি ভুক্তভোগী চিত্রনায়িকা পরীমনি। এমন অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। তিনি বলেন, জায়েদ খান ভাই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাকে বিষয়টি জানালে তিনি ‘দেখতেছি দেখতেছি’ বলে সময়ক্ষেপণ করেন। সমিতির পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেননি।

কিন্তু কেন শিল্পী সমিতি পরীমনির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেননি? কেন তাকে কোনো সহায়তা করেননি? এমন প্রশ্ন খোদ সমিতির সদস্যদের মধ্যে। পরীমনি নিজেও শিল্পী সমিতির একজন সদস্য। তাই তিনি নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বাজে ঘটনাটি প্রথমে শিল্পী সমিতির অন্যতম কর্তাব্যক্তি জায়েদ খানকে জানান। কিন্তু নিরাশ হতে হয়েছে পরীমনিকে।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হয় শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে। সোমবার রাতে তিনি ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘পরীমনিকে আমরা রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। স্থানীয় থানায় নিয়ে যেতেও চেয়েছিলাম। কিন্তু ও ধৈর্য্য ধরেনি, থানায় যেতেও রাজি হয়নি। উল্টো আমাদের নামে স্ট্যাটাস দিয়েছে। ওকে আমরা সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলাম। ও সেটাও দেয়নি। তাহলে শিল্পী সমিতি কীভাবে ওকে সহায়তা করবে?

এদিকে সমিতির সভাপতি খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ইতোমধ্যে পরীমনিকে সহায়তা না করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জায়েদ খানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি পরীমনির কাছ থেকে। তবুও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সর্বক্ষণ তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি থানায় মামলা নেয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করেছি। এছাড়া জায়েদ খানও শিল্পমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে।’

মিশা আরও লিখেন, ‘শুধু পরীমনি নয়, যে কেউ এই ঘটনার শিকার হলে তাদের পাশে সবসময় থাকব। আমি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই, পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আশা করছি। যাতে এরকম ঘটনা পরবর্তীতে আর যেন কখনও না ঘটে। পরীমনির পাশে আমি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সবসময় আছে।’

গত ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মারধর ও ধর্ষণচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। চারদিন পর রবিবার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং তার প্রাণের সংশয় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। অভিযোগে তিনি নাসির ইউ মাহমুদ ও অমি নামে দুই ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করেন।

এরপর সোমবার সকালে পরীমনি মিরপুরের রূপনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে ঘটনাটি সাভার থানাধীন হওয়ায় অভিযোগটি সেখানে পাঠানো হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে সাভার মডেল থানায় হাজির হয়ে নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিসহ আরও অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মামলা করেন পরীমনি। দুপুর নাগাদ নাসির ও অমিসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ-ডিবি।

ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :