লালপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ইপিআই (টেকনিশিয়ান)-এর বিরুদ্ধে করোনা টেস্টে রোগীদের নিকট থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া করোনার সময়ে সরকারের বরাদ্দ ১৮ লাখ ২৭ হাজার ৬৮০ টাকার অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে চৌকিদার ফরিদ ইসলাম ও জিয়াউর রহমান জানান, করোনার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে ডিউটি করেছি। করোনাকালে ছয়জন চৌকিদারকে ১৮০০ টাকা করে দিয়েছে। অথচ বিল করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকার।
এ বিষয়ে হাসপাতালের কম্পিটার অপারেটর সুবির কুমার দাস জানান, করোনার প্রথম থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। কাজ করতে গিয়ে কয়েকবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। অথচ তাকে মাত্র দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনা রোগীদের টিকেট ক্লার্ক এনামুল হক জানান, করোনাকালে রোগীদের শনাক্ত টেস্টের সরকারিভাবে টাকা নেওয়া নিষেধ থাকলেও রোগীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুুলেন্সচালক প্রদীপ কুমার সরকার জানান, করোনাকালে ঝুঁকি নিয়ে অনেক রোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তিনি। অথচ করোনার বরাদ্দ একটি টাকা তাকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই (টেকনিশিয়ান) ফখরুজ্জামান সরকার বুলবুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকাটা যাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। উদ্বৃত্ত টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহাবুদ্দিন ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে যেহেতু কোন কার্যক্রম ছিল না; এজন্য ইউনিয়নের বরাদ্দ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/এলএ)