মুন্সীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর মিন্টু মিয়া হত্যার রহস্য উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২১, ২২:৩৭

মুন্সীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর মিন্টু মিয়া হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেটিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত মারুফ শরিফ হাসান জান ওরফে মো. শরিফ মিজি, তুহিন ওরফে পারভেজ এবং অজয় ডোম ওরফে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পিবিআইয়ের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কামরাঙ্গীরচরের আলীনগর মাছবাজার থেকে মারুফ শরিফ হাসান জান ওরফে মো. শরিফ মিজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, অজয় ডোম ওরফে জয় এবং তুহিন ওরফে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে প্রতিদিনের মত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে যায় মিন্টু মিয়া। পরদিন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে খবর পায় যে, মুন্সীগঞ্জের সদর থানার মানিকপুর গ্রামে আনোয়ার হোসেনের তিন তলা বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার মিন্টু মিয়ার লাশ পড়ে আছে। ওই খবর পেয়ে মিন্টুর বড়ভাই মো. মজিবর রহমান দ্রুত সেখানে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, কে বা কারা তার ছোট ভাই মিন্টু মিয়াকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ধারালো চাকু দিয়া বুকে, পেটে আঘাত করে হত্যা করে তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে যায়। এ ঘটনায়

নিহত মিন্টুর বড় ভাই বাড়ি হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পাঁচ মাস তদন্ত করে । পরে তদন্তাধীন অবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে পিবিআই মুন্সীগঞ্জ জেলায় পরবর্তী তদন্তের জন্য পাঠায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনা দেন। পরে পিবিআই মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বির সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান সেখ মামলাটি তদন্ত করেন। এরপর চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ওই তদন্তকারী কর্মকর্তার বদলি হন। পরে পিবিআইয়ের মুন্সীগঞ্জের ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক মামলাটির তদন্তভারের দায়িত্ব দেন পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শামীম আহমেদের কাছে। পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের সার্বিক সহযোগিতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শামীম আহমেদ মামলাটি তদন্ত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতের বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, এটি তিন বছর আগের ঘটনা। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজয় ডোম ওরফে জয়, তুহিন ওরফে পারভেজ এবং মারুফ শরিফ হাসান জান ওরফে মো শরিফ মিজি মিলে নিহত মিন্টু মিয়ার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে। পরে তারা মিন্টুর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় অজয় ডোম ওরফে জয়ের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে জয় তার পকেটে থাকা টিপ চাকু বের করে মিন্টু মিয়ার বুকে ও পেটে বেশ কয়েকবার স্টেপ করে। মিন্টু মিয়া মাটিতে পড়ে যায়। তখন জয় ও মো. শরিফ মিজি দৌড় দেয়। আর পারভেজ তার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়। পরে পারভেজ ওই অটোরিকশাটি বিক্রি করে সবাই মিলে টাকা ভাগ করে নেয়।

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলার পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, মারুফ শরিফ হাসান জান ওরফে মো. শরিফ মিজিকে বুধবার আদালতে নেওয়া হয়। তখন শরিফ নিজেকে জড়িত রেখে ঘটনার সাথে জড়িত অপর জয় ও পারভেজের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর তার দেওয়া জবানবন্দির তথ্য যাচাই-বাছাই করে অজয় ডোম ওরফে ও আসামি তুহিন ওরফে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৬ আগস্ট/এএ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :