ভিডিও ছড়ালে সবাই মেয়েদের দোষ দিতে থাকে: মধুমিতা

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৩৮
অ- অ+

‘আ থাউজান্ড স্প্লেনডিড সান’ উপন্যাসে আফগান-আমেরিকান লেখক খালেদ হোসেইনি লিখেছিলেন ‘দোষারোপের সময় পুরুষের আঙুল সব সময় নারীর দিকেই ঘুরে যায়।’

একই সুরে কথা বললেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। শুধু পুরুষ নয়, গোটা সমাজ যে কোনো বিষয়ে মেয়েদের গায়ে ‘দোষী’ তকমা সেঁটে দিতে পারলেই খুশি হয় বলে মনে করেন তিনি। হঠাৎ কেন এমন প্রসঙ্গ তুলে আনলেন মধুমিতা? তার সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নজর রাখলেই সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘উত্তরণ’ ছবিতে অভিনয় করছেন মধুমিতা। সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বটতলা’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে এক গৃহবধূর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। মধুমিতার পোস্টে বলা হয়েছে, একটি এমএমএস কী ভাবে একটি মেয়ের জীবন তছনছ করে দেয়, সেই গল্পই বলবে ‘উত্তরণ’।

কাজের ফাঁকে ছবি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে মধুমিতা বললেন, ‘একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের যদি কোনো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে মেয়েটির দোষ থাকুক বা না থাকুক, সমাজ তাকেই দোষারোপ করবে। মেয়েরাও বোধ হয় সেটা বুঝে গিয়েছে। চিরাচরিত ধারণাকে ভেঙে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার বার্তা দেবে এই ছবি’

'উত্তরণ'-এ মধুমিতার চরিত্রের নাম পর্ণা। তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করবেন রাজদীপ গুপ্ত। এক ঢাল খোলা চুল, সাদামাঠা শাড়ি, কপালে টিপ, সিঁথি ভরতি সিঁদুর — বড় পর্দায় এই সাজে প্রথম বার দেখা যাবে মধুমিতাকে। এখনও পর্যন্ত যে তিনটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন, সেগুলির থেকে পুরোপুরি একটি ভিন্ন ধরনের চরিত্র। তার জন্য কি আলাদা ভাবে কোনো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি? খানিক হেসে মধুমিতা বললেন, ‘আমি যখনই নতুন কোনো চরিত্র করি, আমার আগের করা চরিত্রগুলির ছাপ মানুষের মন থেকে মুছে যায়। যে ধারাবাহিকগুলো করেছি, সেগুলিতেও একটি চরিত্র আরেকটি চরিত্রের থেকে একদম আলাদা ছিল।’

২০১১ সালে ‘সবিনয় নিবেদন’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রেখেছেন মধুমিতা। সেখানে একটি অবাঙালি মেয়ে নয়নার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর পর ‘কেয়ার করি না’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘কুসুমদোলা’-র মতো একাধিক ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

চরিত্র নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন ঠিকই, কিন্তু কাকে ঘিরে কোন এমএমএস নিয়ে ছবির গল্প আবর্তিত হবে, সে বিষয়ে মুখ খুললেন না মধুমিতা।

অন্য দিকে বাস্তবেও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের দৌলতে মাঝেমধ্যেই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাকে। পর্দা আর জীবন খানিক মিলেমিশে গেছে তার কাছে। তবে কুমন্তব্যকে আগাগোড়াই প্রশ্রয় দেননি তিনি। মধুমিতার কথায়, “আমি জানি, কী ধরনের পোশাক পরি। শালীন-অশালীনের পার্থক্যও বুঝি। যারা আমাকে খারাপ কথা বলেন, তারা নিজেরা কতটা ঠিক বা ভুল সেই দিকটিও তাদের ভেবে দেখা উচিত। ‘উত্তরণ’-ও কিন্তু সেই বার্তাই দেবে।’-সূত্র: আনন্দবাজার।

ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৫ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
ফরিদা পারভীনের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা মির্জা ফখরুলের 
ফুটবলার ঋতুপর্ণার ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান
ত্রিপুরায় রেড অ্যালার্ট, কুমিল্লায় আতঙ্কে বাড়ি ছাড়ছে গোমতীপারের মানুষ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা