নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশে চার পরিবর্তন

নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জামাল-জিকোদের কোচ অস্কার ব্রুজনের একটাই চাওয়া- ‘জয়’। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা হিমালয়ের দেশটিকে হারাতে পারলেই মিলবে সাফ ফাইনালের টিকিট। আর শেষ এবং একমাত্র সুযোগটি হাতছাড়া করতে চাইছেন না এই স্প্যানিশ কোচ।
আজ বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া ম্যাচে চার পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছেন ব্রুজন। সব মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোল ব্যবধানে হারা জামালদের দল থেকে বাদ পড়েছেন সোহেল রানা, ইয়াসিন আরাফাত, রহমত মিয়া এবং মতিন মিয়া। দুই হলুদ কার্ডের জন্য নিষেধাজ্ঞায় আছেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত।
নেপালের বিপক্ষে ফিরেছেন কার্ড জটিলতায় থাকা উইঙ্গার রাকিব হোসেন ও ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। একাদশে জায়গা পেয়েছেন ঘরোয়া লিগে দেশি ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা সুমন রেজা। একাদশে রহমত মিয়ার বদলি হিসেবে ফিরেছেন টুটুল হোসেন বাদশা।
মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এখনও টিকে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০৩ সালে শিরোপা জয়ের পর লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ফাইনাল খেলেছেন মাত্র একবার (২০০৫)। ২০১২ সালের পর প্রতিবার গ্রুপপর্বেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সবশেষ সেমিফাইনাল খেলেছেন তাও প্রায় এক যুগ আগে। অতীতটা সুখকর না হলেও চলতি সাফে শিরোপার স্বপ্নই দেখছেন জামাল-জিকোদের বাংলাদেশ।
চলতি সাফে গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকাকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে ড্র করে স্বপ্নের পথেই হাটছিলেন অস্কার ব্রুজেনের শিষ্যরা। এরপর মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোল ব্যবধানে হারলে সেই আশায় ছেদ পরে। তবে এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না জামাল-জিকোদের স্বপ্ন। আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জয়ের বিকল্প নেই অস্কার ব্রুজনের শিষ্যদের।
তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের আগে কোচ জানিয়েছেন, ম্যাচ জিতে তিনি প্রমাণ করতে চান ‘বাংলাদেশের ফুটবল উঠে আসছে’। সেমিফাইনালে রুপ নেওয়া ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে চান অস্কার ব্রুজন।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘আমরা জার্নিটা উপভোগ করছি। বিশ্রামের পর সবাই অনুশীলনে ফিরেছে। কাল (আজ) ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। আমাদের সামনে সুযোগ আছে পারফর্ম করে এটা প্রমাণের যে, বাংলাদেশের ফুটবল ফিরছে।’
বাংলাদেশের একাদশ: আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, তারিক কাজী, বিশ্বনাথ ঘোষ , টুটল হোসেন বাদশা , জামাল ভূঁইয়া (অধিনায়ক), ইব্রাহীম, বিপলু, সাদ উদ্দিন, রাকিব হোসেন ও সুমন রেজা।
(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/এমএম/এইচএন)

মন্তব্য করুন