লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের টাকা আত্মসাৎ: তিন নেতার বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ২০:৩৬
অ- অ+

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্নসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে অবাঞ্চিত সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক। এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক মুক্তখবরের জেলা প্রতিনিধি আহাম্মদ আলী বাদী হয়ে সভাপতি-সম্পাদকসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রায়হান চৌধুরীর আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভিস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার আইনজীবী মাহাবুবুল করিম টিপু জানান, প্রেসক্লাবের টাকা আত্নসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ সেশনে প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক নির্বাচিত হওয়ার পর প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্য তদবির, ভূমিহীনদের ভূমি দখল ও সংখ্যালঘু নারীর ৩৩ লাখ টাকা আত্নসাৎ এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে তারা জড়িত রয়েছেন। প্রেসক্লাবের বেশিরভাগ সদস্য এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, নাজেহাল, বহিস্কার মামলা-হামলার হুমকি দেয়া হয়।

এসব ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৮ নভেম্বর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক, ভোরের কাগজ ও দেশটিভির প্রতিনিধি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিটিভি এবং আমাদের সময়ের প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জহির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এক বিশেষ সাধারন সভা হয়। এই সভায় প্রেসক্লাবের টাকা আত্নসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির দায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং হিসাব কমিটির প্রধানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন সদস্যরা।

সম্প্রতি প্রেসক্লাবের ২৩ মাসের আয়-ব্যয়ের একটি হিসাব বিবরণী সদস্যদের মধ্যে দেয়া হয়। সেখানে স্বাক্ষর করেন হিসাব কমিটির আহ্বায়ক মো. কাউছার, সদস্য আতোয়ার রহমান মনির ও নিজাম উদ্দিন।

ওই হিসেব বিবরনীতে ১৬টি খাতের আয় দেখানো হয় ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ২৮০ টাকা। আর ব্যয় দেখানো হয় ২৬টি খাতে ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০ টাকা। অথচ ২৬টি খাতের ১৪টি খাতে কোনো ব্যয় প্রেসক্লাবে হয়নি।

এসব খাতের প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে তারা আত্নসাৎ করেন। কিন্তু প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যয় করেছেন। প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্যরা সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রেসক্লাবের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আমুর মুক্তির দাবিতে মিছিলে অংশ নেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা হাসানুল বারী গ্রেপ্তার
শাহজালালে লাগেজ ট্রলির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের বোয়িং ৭৩৭
ঢাকার দোহারে বিএনপি নেতা হারুন মাস্টারকে গুলি করে হত্যা
রাজধানীর টিকাটুলিতে কেমিক্যাল গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা