‍কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা মামলার আসামি রকিকে নির্দোষ দাবি পরিবারের

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ২১:০৮
অ- অ+

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি মো. আশিকুর রহমান রকিকে নির্দোষ দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। রকিকে লালমনিরহাটের চণ্ডীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরীর একটি বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন রকির পরিবারের সদস্যরা। এতে রকির স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বক্তব্য দেন। এ সময় রকির বাবা আনোয়ার হোসেন, মা রানু বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের বাসা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিকোনা এলাকায়।

রকির স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমার স্বামী আশিকুর রহমান রকি নগরীর রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী। সেখানে রকি স্টোর নামে তার কসমেটিক্স দোকান রয়েছে। কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরাও শোকাহত। আমরা হত্যাকারীদের কঠোর ফাঁসি চাই। কিন্তু আমরা সবাই অবাক হয়েছি এই হত্যা মামলায় আমার স্বামীকে আসামি করাতে।

ফেরদৌস বলেন, ‘আমার শ্বশুরের পরিবার বা আমার স্বামীর সঙ্গে নিহত সৈয়দ মো. সোহেলের কোনো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ নেই। ঘটনার সময় আমার স্বামী তার বাবাসহ রাজগঞ্জ বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। সেখানকার ব্যবসায়ীরা সকলেই তাকে বাজারে দেখেছেন। এছাড়া বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করলেই বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যায়। একটি মহল ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে।

ফেরদৌসের ভাষ্য, ‘আমার স্বামীকে আসামি করায় র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এই সুযোগে একটি মহল আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করেছে। সোমবার আমাদের ঘর বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ বিষয়ে সোমবার কোতোয়ালি থানায় আমার শাশুড়ি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমি প্রসাশনের কাছে আমার স্বামীর বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। আর প্রকৃত হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’

রকির বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা গত চার বছর ধরে ব্যবসা করি। বাজারের শত শত মানুষ দেখেছে ঘটনার দিন এবং ঘটনার পরদিনও রকি বাজারে দোকানে ছিল। মামলার খবর শুনে তিনি ভয়ে লালমনিরহাটে পালিয়ে যান। শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্যই তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলাও নেই। রকি আমার একমাত্র ছেলে, আমি তার মুক্তি চাই।

রকির মা রানু বেগম বলেন, কাউন্সিলর সোহেল আমাদের পরিবারকে খুব মায়া করতেন। আমরাও তাকে সম্মান করতাম। আজ তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের এতোটা হয়রানি হতে হতো না।

রকির বোন সোনিয়া আক্তার নিশি বলেন, আমার ভাইয়ের মাত্র সাড়ে ৫ মাস বয়সী একটি কন্যা শিশু রয়েছে। তার স্ত্রী এখন দিশেহারা। রকির সঙ্গে কাউন্সিলর সোহেল ও মামলার বাদী রুমন ভাইয়ের অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু এরপরও অন্যায়ভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এ সময় মামলার বাদী রুমনের সঙ্গে থাকা রকির একাধিক ছবি দেখান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বলেন, পুলিশ মামলার তদন্ত করছে। তদন্তেই বের হবে রকি দোষী নাকি নির্দোষ। আমি এখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম বলেন, মামলার তদন্তে চলছে। তদন্তে সব সত্য বেরিয়ে আসবে।

গত ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রেমের টানে মালয়েশিয়ার তরুণী বদলগাছীতে, বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
মুন্সীগঞ্জে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ বন্ধুর  
চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রাপচাপায় ৩ জন নিহত
ক্যাসিনোকাণ্ড অভিযানের নেপথ্য কাহিনী জানলে চমকে যাবেন আপনিও
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা