কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় থাকছে না নৌকা!

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:২৪

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা এড়াতে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় থাকছে না আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা। ফলে ইউনিয়নগুলোতে উন্মুক্ত থাকছে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি মিঠামইন উপজেলার সাতটি ও অষ্টগ্রাম উপজেলার আটটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মিঠামইন উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন হলো গোপদিঘী, মিঠামইন, ঘাগড়া, ঢাকী, কেওয়ারজোর, কাটখাল ও বৈরাটি। অষ্টগ্রাম উপজেলার আট ইউনিয়ন হলো দেওঘর, কাস্তুল, অস্টগ্রাম সদর, বাংগালপাড়া, কলমা, আদমপুর, খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর ও পূর্বঅষ্টগ্রাম।

এছাড়া ইটনা উপজেলার নয়টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে পরের ধাপে। এ ইউনিয়নের এখনও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়নি। ইটনা উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন হলো রায়টুটি, ধনপুর, মৃগা, ইটনা, বড়িবাড়ী, বাদলা, এলংজুড়ি, জয়সিদ্ধি ও চৌগাংগা।

অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস্ বলেন, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলার সব ইউনিয়নে নির্বাচন হবে নৌকা প্রতীকবিহীন। স্থানীয় সাংসদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড এতে সম্মতি দিয়েছে। বিএনপি যেহেতু নির্বাচন করবে না, অধিকাংশ প্রার্থী আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির। তাই জাতীয় প্রতীক ব্যবহার করা হবে না।

সাংসদ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সাংবাদিকদের জানান, চলমান ইউপি নির্বাচনে দেশের কিছু জায়গায় সহিংসতা দেখা দিয়েছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার সংসদীয় আসন কিশোরগঞ্জ-৪ এর তিন উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার অনুরোধ জানাই। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আমার এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। সভা শেষে কেন্দ্র থেকে আমাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানান, দলের শক্ত ঘাঁটি হওয়ার পরও তৃণমূল নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকায় দলের একাধিক নেতা বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। এতে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতীক না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন যে কেউ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।

ভোটাররা বলছেন, দলীয় প্রতীক ছাড়া ভোট হলে ভালো প্রার্থীরাও নির্বাচনে দাঁড়াতে সুযোগ পাবে। এতে সংঘাত, কলহ বিবাদ অনেকটাই কমে আসবে। প্রার্থী বেশি হলে ভোটাররা যোগ্য লোক বেছে ভোট দিতে পারবেন। দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তে বহু প্রার্থীর মধ্যে ফিরে এসেছে চাঙা ভাব। সাধারণ ভোটাররা মনে করেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলে বাড়বে ভোটারের মূল্যায়ন। যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন। সৃষ্টি হবে জবাবদিহির মানসিকতা।

(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :