নৌকা পেলেন খুনি মোস্তাকের আত্মীয়!

পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার নৌকা পেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি খন্দকার মোস্তাকের আত্মীয় খন্দকার সাইফুল্লাহ। তিনি কুমিল্লা লালমাই উপজেলার ৬নং পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
স্থানীয়রা জানায়, খন্দকার সাইফুল্লার ছোট চাচা আবু জাফর খন্দকার বিয়ে করেন বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোস্তাকের আপন ভাগ্নি আমাতুল শারমিন খন্দকারকে। তারা পারিবারিকভাবে একটা সম্পর্কে আবদ্ধ। এই পরিবারের লোকজন নৌকা প্রতীক পায় কীভাবে- তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি খন্দকার মোস্তাকের আত্মীয় নৌকা প্রতীক পাওয়ায় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক নেতাকর্মী বলেন, খন্দকার সাইফুল্লাহ ও তার পরিবার জীবনভর বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতি করল। এবার কীভাবে নৌকা পেলে- তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, এই খন্দকার সাইফুল্লাহ আওয়ামী সংগঠনের সাথে কোনকালেই জড়িত ছিলেন না, নেই কোন প্রকার সদস্যপদও! জীবনে কখনো জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেননি বলেও শোনা যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার সাইফুল্লাহ বলেন, অন্তত ৩০/৪০ বছর আগে তার চাচার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারা বাড়িতে থাকেন না। কই আছে তাও জানি না।
খন্দকার সাইফুল্লাহ আরো বলেন, তার বাবা আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী ছিলেন। তিনিও নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী।
পেরুল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বতর্মান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান জানান, এ বিষয় নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করবেন না। এলাকায় গিয়ে খবর নিলে সব জানতে পারবেন বলে কথা শেষ করেন।
লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়টা পরিষ্কার করতে পারবে প্রশাসন।
যদি তিনি খন্দকার মোস্তাকের আত্মীয় হন, সেক্ষেত্রে দলীয়ভাবে কি সিদ্ধান্ত নিবেন এমন প্রশ্নে মাসুদ জানান, আমরা কখনই এমন কিছু মেনে নেব না, যা আমাদের দলীয় আদর্শকে কলঙ্কিত করে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার সাইফুল্লাহর বড় ভাই খন্দকার গোলাম মোর্শেদ বলেন, তার চাচা খন্দকার আবু জাফর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করার সময় খন্দকার মোস্তাকের ভাগ্নির সাথে প্রেম করে বিয়ে করেন। পরে পরিবার মেনে নেয়নি। এ ঘটনা ৩০/৪০ বছর আগের। তারপর থেকে তার চাচার সাথে পারিবারিক সম্পর্ক আর নেই। পরে ওই মহিলা তার চাচাকে ডিভোর্স দিয়ে পরে আরো দুটি বিয়ে করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/এলএ)

মন্তব্য করুন