‘সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে স্ট্রোক ব্যবস্থাপনা চালু করা উচিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ২২:৫৭
অ- অ+

আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে ইস্কেমিক স্ট্রোক ব্যবস্থাপনার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু ঢাকায় মাত্র দুটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে- যেখানে স্ট্রোক ব্যবস্থাপনার সুবিধা পাওয়া যায়। তাই স্ট্রোক থেকে মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব কমাতে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্ট্রোক ব্যবস্থাপনা সুবিধা চালু করা উচিত বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি।

শুক্রবার ঢাকার প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের সমাপনী দিনে তিনি গবেষণা তথ্য তুলে ধরে এ কথা জানান। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি বলেন, বাংলাদেশে মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ স্ট্রোক। বেশিরভাগ স্ট্রোক (প্রায় ৮৫ শতাংশ) ইস্কেমিক এবং এটি একটি জরুরি চিকিৎসার আওতাভুক্ত রোগ। আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে ইস্কেমিক স্ট্রোক ব্যবস্থাপনার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু ঢাকায় মাত্র দুটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে- যেখানে স্ট্রোক ব্যবস্থাপনার সুবিধা পাওয়া যায়। তাই স্ট্রোক থেকে মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব কমাতে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্ট্রোক ব্যবস্থাপনা সুবিধা চালু করা উচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া হাসিন বলেন, বিএসএমএমইউর প্যালিয়াটিভ কেয়ার টিমের ১০৪ জন রোগী ও ২৪ জন সদস্যের ওপর একটি গবেষণা চলানো হয়। এখানে বেশিরভাগই ছিল বিবাহিত মহিলা, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল ক্যানসার রোগী এবং তাদের প্রধান লক্ষণ ছিল ব্যথা। যদিও সেবাদানকারীরা ছিল প্রশিক্ষিত ও অনুপ্রাণিত, তবু তারা বিভিন্ন মনোসামাজিক ও আত্মিক সেবাদানের ব্যাপারে বাধাগ্রস্ত হয়।

সীমিত সম্পদ অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীর ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিএসএমএমইউর এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহজাদা সেলিম গবেষণায় দেখেন যে, উন্নয়নশীল দেশের জন্য টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের ব্যবস্থাপনা একটি বড় বাধা। এর কারণ হিসেবে দেখা যায়, অনেক উন্নয়নশীল দেশেই অল্প কিছু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছে যারা ডায়াবেটিস ও এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিষয়ে অভিজ্ঞ। একই সঙ্গে বাস্তবতা এটাও যে, মুখে খাওয়ার ওষুধের স্বল্পতা, ইনসুলিন, ইনজেকশন ডিভাইস নিজে নিজে ব্লাড সুগার পর্যবেক্ষণেরও ঘাটতি রয়েছে।

গবেষণা তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, রোগীর যদি ইনসুলিন বা ইনজেকশন কেনার সামর্থ্য না থাকে তবে টাইপ-১ ডায়াবেটিস মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। মধ্য এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জনসংখ্যা, জীবনযাপন প্রণালী ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীর বোঝা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কিনা ২০০০ সালে বৈশ্বিক রোগীর ৬৭ শতাংশ ছিল এবং ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৭৮ শতাংশ-এ উন্নীত হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দক্ষ চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্সের সংখ্যা বৃদ্ধি ও একটি আদর্শ ব্যবস্থাপনার দিক নির্দেশনা অনুসরণ করা যেতে পারে।

জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলন সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দীন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউর নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবু নাসের রিজভী।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/কেআর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা