পারমাণবিক বোমা কতটা শক্তিশালী, কয়টি দেশে আছে এই বোমা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০২২, ১৪:১৯| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২২, ১৪:৫১
অ- অ+

পৃথিবীর বুকে মানব সভ্যতা ধ্বংসের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ও হাইড্রোজেন বোমা। পারমাণবিক বোমার শক্তি বিশ্ববিদিত ৷ কিন্তু তার চেয়েও শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা৷ মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরূপ এই ইউরেনিয়াম বিধ্বংসী হাতিয়ারগুলোর একেকটিই একটি পুরো শহরকে ধ্বংস করতে পারে, হত্যা করতে পারে লক্ষ লক্ষ মানুষ, প্রাকৃতিক পরিবেশকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি এর দীর্ঘমেয়াদী ভয়ঙ্কর আগ্রাসন পরবর্তী প্রজন্মগুলোতে ভয়ানক প্রভাব ফেলতে পারে। পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তা এক নীরব ও অদৃশ্য ঘাতক।

১৯১৪ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘দ্য ওয়ার্ল্ড সেট ফ্রি’-তে প্রখ্যাত লেখক এইচ জি. ওয়েলস ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে নির্মিত এক ধরনের বিধ্বংসী ও অতি শক্তিশালী হাতবোমার কল্পনা করেন। বিধ্বংসী এই বোমা একবার নিক্ষেপিত হলে তার প্রভাব থাকবে অনির্দিষ্টকাল। এইচ জি. ওয়েলস তার উপন্যাসের মাধ্যমে ইউরেনিয়াম নির্মিত বোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে সেকালে এই বিধ্বংসী বোমার অস্তিত্ব শুধুমাত্র উপন্যাসের কল্পনার পাতায় আবদ্ধ ছিল।

এইচ জি. ওয়েলসের উপন্যাস প্রকাশের দুই দশকের কিছু সময় পর ১৯৩৮ সালে জার্মানির বার্লিনের এক গবেষণাগারে পারমাণবিক বোমা তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এই পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানী অটোহান, লিস মিটনার, ফ্রিৎজ স্ট্রাসমান কর্তৃক নিউক্লিয়ার ফিসন প্রক্রিয়া আবিষ্কার সম্ভব হয়। এর ফলে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার তত্ত্ব বাস্তবে রূপ নেয়।

ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াসকে একটি মুক্ত নিউট্রন আঘাত করলে এর পরমাণু দুইটি পৃথক অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। যার ফলে ইউরেনিয়াম (ইউ) পরমাণু হতে সম্পূর্ণ নতুন দুইটি পদার্থের পরমাণু সৃষ্টি হয়। এই নতুন পদার্থের একটি বেরিয়াম (বিএ) ও অপরটি নাম ক্রেপ্টন (সিআর)। ইউরেনিয়াম পরমাণু খন্ডিত হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে নিউক্লিয়ার ফিসন বলে।

নতুন দু’ইটি পরমাণু সৃষ্টির সাথে সাথে ৩টি নতুন নিউট্রন কণা ও বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। সৃষ্ট নতুন ৩টি নিউট্রন আবার অন্য তিনটি অক্ষত ইউরেনিয়াম পরমাণুকে পুনরায় আঘাত করে। এতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এই প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকে। যাকে বলা হয় চেইন রিয়েকশন। এই প্রক্রিয়া খুব কম সময়ে সম্পন্ন হয় এবং মুহূর্তেই খুব ছোট স্থান থেকে অনেক বড় স্থানে তাপ শক্তি, যান্ত্রিক শক্তি ও বিদ্যুৎ শক্তি রূপে ছড়িয়ে পরে।

নতুন ধরনের পারমাণবিক এই বিক্রিয়ায় রাসায়নিক বিক্রিয়ার চেয়ে প্রায় ৫ কোটি গুণ বেশি শক্তি উৎপাদন সম্ভব হয়। এই বিপুল শক্তি কিভাবে সৃষ্টি হয়? পরমাণু বিভাজিত হওয়ার পর ইউরেনিয়াম পরমাণুর অস্তিত্ব লোপ পায় এবং সাথে সাথে কিছু ভরের ক্ষয় হয়। অর্থাৎ নতুন দুইটি পদার্থের ভর ইউরেনিয়াম পরমাণুর মোট ভরের থেকে কম হয়। এই হারানো ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে আমেরিকান বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ এবং জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহাইমারের মধ্যে চলছিল এক অদৃশ্য স্নায়ুযুদ্ধ। এই সময় জার্মানি ও আমেরিকা একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে খুঁজতে শুরু করে পারমাণবিক বোমা তৈরির কৌশল।

১৯৪৩ সালে আমেরিকার শীর্ষ বিজ্ঞানীদের নিয়ে ওপেনহাইমার ম্যানহাটন প্রকল্পের আওতায় পারমাণবিক বোমা তৈরিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে পারমাণবিক বোমা তৈরির একদম দ্বারপ্রান্তে গিয়ে হাইজেনবার্গ ও তার সহকর্মীরা এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের শিকার হন। তারা কোনো ভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরতে পেরেছেন, কিন্তু তাদের দীর্ঘদিনের কাজ সহ লীপজিং-এর সেই পরীক্ষাগার সকলের চোখের সামনে ধুলিসাৎ হয়ে যায়।

এই বিস্ফোরণকে পরে চারদিকে গুঞ্জন উঠে, জার্মানি পারমাণবিক বোমা তৈরির একদম দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। জার্মান পরীক্ষাগারের দুর্ঘটনাকে আমেরিকানরা জার্মানদের সফলতার প্রতীক হিসেবে ধরে নেয়। এই ভুল ধারণার দরুন আমেরিকানরা উল্টা লাভবান হয়েছিল। এই খবরে আমেরিকানরা তাদের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

অন্যদিকে লীপজিং-এর পরীক্ষাগার পুরোপুরি ধ্বংসের পর হাইজেনবার্গ তীব্র মানসিক চাপে ছিলেন। নাৎসিরা তাকে সাফ জানিয়ে দেয়,

১৯৪৫ সাল নাগাদ কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জার্মানির দুর্দশা চরমে পৌঁছে। ১৯৪৫ সালের ৩ মে হাইজেনবার্গ সহ জার্মানির শীর্ষ বিজ্ঞানীগণ মিত্র বাহিনীর হাতে আটক হন। সেকালে পৃথিবীর শীর্ষ বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম হওয়ার কারণে হাইজেনবার্গকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সকল ধরনের সরকারি সহায়তা লাভ করায় ওপেনহাইমার সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান। পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ তিনি সর্বমহলে পরিচিত ‘পারমাণবিক বোমার জনক’ হিসেবে। তিনি ও তার গবেষক দল ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসের মধ্যে ৩টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম হন। এই পারমাণবিক বোমা তিনটি ছিল প্লুটোনি়য়াম সমৃদ্ধ বোমা- ফ্যাটম্যান ও গ্যাজেট। অন্যটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ বোমা- লিটল বয়।

আমেরিকার সদ্য আবিষ্কৃত তিনটি বোমা তখন পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের অপেক্ষায় ছিলো। হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রুমান বিজ্ঞানীদের তৈরি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের অনুমতি দেন। হোয়াইট হাউসের বৈঠকে এই মিশনের নাম দেয়া হয় ‘ট্রিনিটি টেস্ট’।

প্রেসিডেন্টের অনুমতি প্রাপ্তির পর ‘গ্যাজেট’ নামক প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধ পারমাণবিক বোমাটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর আলামোগোরডো পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশ কয়েকবার বোমা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীগণ সবুজ সংকেত প্রেরণ করেন। বিজ্ঞানীদের সবুজ সংকেত লাভের পর নিরাপদ দূরত্ব থেকে পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করা হয়।

বিস্ফোরণের পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ফুট উঁচু এক অতিকায় মাশরুমাকৃতির ধোঁয়ায় নিউ মেক্সিকোর আকাশ ঢেকে যায়। নিজের আবিষ্কারের সফলতা দেখে বেশ আনন্দিত ছিলেন ওপেনহাইমার।

ট্রিনিটি টেস্টের বোমাটির এতটাই শক্তশালী ছিলো যে এর বিষ্ফোরণ স্থলের তাপমাত্রা সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে যায়। এমনকি এই তাপমাত্রা সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০,০০০ গুণ বেশি ছিল। বোমাটি বিস্ফোরণের স্থানে এক দীর্ঘ খাতের খাতের সৃষ্টি হয়। খাতটি ছিল প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ।

নিউ মেক্সিকোতে সৃষ্ট সেই অন্ধকার খাতের দিকে তাকিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্যারেল বুঝতে পেরেছিলেন, পৃথিবীর বুকে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের সাথে সাথে এক নতুন অভিশাপ অবতীর্ণ হয়েছে।

ম্যানহাটন প্রোজেক্ট ও ট্রিনিটি টেস্টের হাত ধরে শুরু হয় এক নতুন ধ্বংসাত্মক যুগ, যার নাম ‘পারমাণবিক যুগ’।

ট্রিনিটি টেস্টের ৩ সপ্তাহ পরে, পার্ল হারবার হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা ও ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরে অবশিষ্ট দু’ইটি বোমা লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান নিক্ষেপ করা হয়, চালানো হয় মানব ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক আক্রমণ। বিস্ফোরণের ঘন্টা খানেকের মধ্যে ক্ষতিকর তেজষ্ক্রিয় বিষাক্ত পদার্থ কালো বৃষ্টি রূপে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝরে পড়ে।

আমেরিকার অমানবিক এই হত্যাকাণ্ডে ২০ হাজার সৈন্যসহ ৪ লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে পারমাণবিক বিকিরণের শিকার হয়ে মারা যান আরো অগণিত মানুষ। পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের পর ১৫ আগস্ট ধ্বংস প্রাপ্ত জাপান মিত্রশক্তির কাছ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।

আমেরিকানরা সর্ব প্রথম ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক মারণাস্ত্র আবিষ্কার, পরীক্ষা ও ব্যবহার করে পৃথিবীতে যুদ্ধের ও মানবিক বিপর্যয়ের এক নতুন ইতিহাস নির্মাণ করে। প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান এ মর্মান্তিক ঘটনার জন্য কখনও বিবেকের দংশন অনুভব করেননি। আমেরিকা নাগাসাকি ও হিরোশিমাতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের জন্য কখনো জাপানের কাছে ক্ষমা চায়নি। উপরন্ত আমেরিকার সমর্থনকারীদের ভাষ্য ছিল এমন,

“যুদ্ধ স্বল্পসময়ে শেষ করার জন্য পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ ছিল একমাত্র উপায়। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতি টানা। আমেরিকা জাপানে সামরিক অভিযান চালালে আরো বেশি মানুষের প্রাণ যেত।”

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে পারমাণবিক বোমার ব্যবহার হয়নি। কিন্তু তাই বলে দেশগুলোর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেমে নেই। পারমাণবিক বোমার মতো একটি ভয়াবহ অস্ত্র বারবার ক্ষমতা প্রদর্শনের অলংকার হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নির্মমতার সাথে অসুস্থ পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ হতে পারতো, কিন্তু না তা হয়নি!

কোন দেশে কতগুলো পারমাণবিক বোমা আছে

বর্তমানে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে ১৬,৩০০ পারমাণবিক বোমা আছে। তবে এসব বোমার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ এবং কোন দেশের অস্ত্রভান্ডারে এ বোমার সংরক্ষণ খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়। হিরোশিমা ও নাগাসাকির সেই বিস্ফোরণের পরেও এখন পর্যন্ত আরও পাঁচ শতাধিকবার পরীক্ষামূলকভাবে এবং প্রদর্শনের জন্য এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এবং মজুদ রয়েছে এমন দেশগুলো হল - যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত ও পাকিস্তান। এছাড়া এটা ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে - উত্তর কোরিয়া, ইরান, ইসরাইল, দক্ষিণ আফ্রিকায়ও পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

পৃথিবীতে অবস্থিত মোট ‘কার্যকরী’ পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ১৬,৩০০। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দখলেই রয়েছে প্রায় ১৪,০০০ এর কাছাকাছি হাতিয়ার।

রাশিয়ার কাছে সবচেয়ে বেশি : স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউট সিপ্রি-র তথ্য অনুসারে রাশিয়ার কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আনবিক বোমা রয়েছে। দেশটিতে এ ধরনের বোমার সংখ্যা ৭৫০০-এর বেশি৷ ১৯৪৯ সালে সেদেশ প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল।

দ্বিতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে এবং একমাত্র দেশ যারা এটা যুদ্ধে ব্যবহারও করেছে। দেশটির এখন ৭০০০-এর বেশি পারমাণবিক বোমা রয়েছে।

বাকিগুলো সাতটি অন্যান্য পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের মধ্যে বিভক্ত। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য আছে (২১৫), ফ্রান্স (৩০০টি), চীন (২৭০), ভারত (১২০), পাকিস্তান (১২০), ইসরায়েল (৮০) এবং উত্তর কোরিয়া (<১০)। পারমাণবিক অস্ত্রের সম্প্রসারণ না করার মধ্যস্থতার চুক্তিপত্র অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত পৃথিবীর ৫টি পারমাণবিক অস্ত্রধর রাষ্ট্রসমূহ হচ্ছে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি তাদের অস্ত্রাগার সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে এবং সেটিকে বৈধতা দেয়, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী উল্লিখিত রাষ্ট্রসমূহ এগুলোকে চিরন্তনভাবে সংরক্ষণ কিংবা প্রস্তুতির মান্যতা দেয় না। উল্লিখিত রাষ্ট্রসমূহ অস্ত্রগুলোকে নির্মূল করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাকিস্তান, ভারত, ইসরায়েল ও উত্তর কোরিয়া এই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেনি। দেশগুলোর কাছে থাকা মোট পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ৩৪০টি।

মানবজাতি পারমাণবিক যুদ্ধ লাগিয়ে হঠাৎ একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। পারমাণবিক অস্ত্র মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হত্যা এবং ধ্বংসের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম, কৌশলগত মাত্রার একটি ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে পারমাণবিক অস্ত্রের দখল কোন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার একটি নির্ভরযোগ্য এবং সম্ভবত একমাত্র গ্যারান্টি হয়ে দাঁড়িয়েছে? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সারা বিশ্বের অস্তিত্বকেই ধ্বংস করবে।

(ঢাকাটাইমস/৫ মার্চ/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঢাকাসহ দেশের ১৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে, নদীবন্দরে সতর্কতা
ভেষজ ডেউয়া ফল মানসিক চাপ ও সানস্ট্রোক রোধ করে
গাজায় এক দিনে ইসরায়েলি হামলায় ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত
ভুঁড়ি কমানোর স্বাস্থ্যসম্মত সহজ উপায়
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা