হরিণাকুণ্ডুতে ফসলি জমি থেকে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৭:২৯

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়ণকান্দি গ্রামের ফসলি জমি নষ্ট করে দিনের পর দিন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে বালু উত্তোলন। উপজেলার চটকাবাড়িয়া গ্রামের বালু ব্যবসায়ী লাল অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামে ফসলি জমি নষ্ট করে প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত কয়েক দিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে এই বালু উত্তোলন বেশকিছু বন্ধ ছিল। তবে সুযোগ পেলেই এই বালু খেকোরা বালু উত্তোলন করতে থাকে। এই গ্রামের ফসলী জমি হুমকীর মুখে পতিত হয়ওার পাশাপাশি এলাকার রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এলাকার ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় যাতায়াত ঝুকিপূর্ণ হওয়া ছাড়াও এলাকায় বসবাসরত জনগন রাস্তার ধুলাবালীতে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগব্যাধি ও সব সময় চলাচলের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

উপজেলার কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় এই অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রয়ের একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিগেটের হোতা অবৈধ বালু ব্যবসায়ী লাল ও আকতার মেম্বার কাউকে তোয়াক্কা না করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ লোক তো দুরের কথা, প্রশাসনও কোন কোন সময় এদের বাধা দিতে হিমসিম খাচ্ছে।

ব্যাপারে বালু উত্তালনকারী চটকাবাড়িয়ার গ্রামের প্রভাবশালী বালু খেকো লাল জানান, আমরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রেখে ছিলাম, হঠাৎ জানতে পারলাম ভবানীপুর বাজার হতে নতীডাঙ্গা,ভেড়াখালী গ্রামের রাস্তা ভরাটের জন্য ০.৫ কি.মি বালি লাগবে। উপজেলার কোথাও বালি পাওয়া যাচ্ছে না বলে উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আজ তিনদিন ধরে আমি বালু উত্তোলন করছি। তিনি আরও বলেন, আমার কি ক্ষমতা, প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই আমি বালু উত্তোলন করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, লালের কথা সত্য নয়, আমার কি এই নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আছে? ওটা ভূমি প্রশাসনের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমার কোনো কথা হয়নি।

বালু উত্তোলনের ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিম আহমেদ জানান আমি মঙ্গলবার সকালে সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে নির্দেশনা দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি। পুনরায় উত্তোলন করার সংবাদ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।

এ ব্যপারে এলাকার কৃষক, ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ভিভাবকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্র হয়ে ইতোপূর্বে বালু উত্তোলন বন্ধে মানববন্ধন করেও ঠেকাতে পারেনি বালু খেকোদের রমরমা ব্যবসা।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজুর রাশেদ এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন বালু যেই উত্তোলন করুক তাকে ঠেকাতে হবে, জনসাধারণের অসুবিধা করে কোন কাজ করা যাবে না, মোট কথা বালু উত্তোলন বন্ধ করে ফসলি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে।

এলাকার ভুক্তভোগিরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামসহ বালু উত্তোলন বন্ধে সকল পর্যায়ের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ঢাকাটাইমস/৫এপ্রিল/এআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :