আখাউড়ায় সয়াবিন তেল উধাও, ব্যবসায়ীদের দুষছেন ক্রেতারা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৩৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হঠাৎ করে বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু দোকানে এক লিটারের বোতল থাকলেও সাথে অন্য কোন পণ্য না কিনলে দোকানিরা তেল বিক্রি করছেন না। আবার কিছু দোকানে খোলা তেল থাকলেও লিটারে ১৯০-২০০ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে তেলের এ সংকটকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। রমজান মাসে তেলের এ সংকটকে রোজাদারদের সাথে তামাশা বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

তাদের অভিমত, ব্যবসায়ীরা মানুষকে জিম্মি করে উচ্চ দামে বিক্রি করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তেলের সংকট সৃষ্টি করেছে। অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলাররা তেল দিচ্ছে না। তাই দোকানে তেল নাই। তেল কেনা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে হচ্ছে বাক বিতণ্ডা। তেলের এ সংকটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার বিকাল থেকে বাজারে সয়াবিন তেল নেই। ক্রেতারা দোকানে গিয়ে সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না। কোথাও কোথাও ১ লিটার বা ২ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও সাথে অন্য কোন পণ্য না কিনলে তেল বিক্রি করছে না দোকানিরা। ফলে তেল কিনতে আসা ক্রেতারা খালি হাতে ফেরত যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও ১/২ লিটারের বোতল পাওয়া গেলেও দোকানিরা বেশি দামের কিনে আনার দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত দাম চাচ্ছে। আবার কিছু দোকানে খোলা সয়াবিন বিক্রি করছে ১৯০-২০০ টাকা। কিন্তু তাও একত্রে ১/২ লিটারের বেশি বিক্রি করছে না। আবার বেশি লাভের আশায় বোতল থেকে তেল খোলে খুচরা ধরে বিক্রি করছেন অনেক দোকানদাররা । রবিবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজার, বড় বাজার, গাজীর বাজার, মোগড়া বাজার ঘুরে সয়াবিন তেলের এ সংকটের চিত্র পাওয়া গেছে। দোকানগুলোতে সয়াবিন তেলের বোতল দেখা যায়নি। দুয়েকটি দোকানে ১ লিটারের বোতল দেখা গেছে। তাও খুব অল্প। ক্রেতারা এ দোকান থেকে ওই দোকানে ঘুরছেন কোথাও মিলছে না তেল। কবে নাগাদ তেলের এই সংকটের সমাধান হবে তাও নিশ্চিত করে বলছে না কেউ।

সড়ক বাজারে কথা হয় ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন, রাসেল ও মামুন মিয়ার সাথে । তারা অভিযোগ করে বলেন, দোকানদাররা ইচ্ছা করে তেলের সংকট সৃষ্টি করেছে। অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করার জন্যই তেল সরিয়ে রেখেছে। ক্রেতাকে বাধ্য করে অতিরিক্ত দামে চুপি চুপি বিক্রি করছে। তিনি প্রশাসনের মনিটরিংয়ের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে কয়েকজন দোকানদার বলেন, ডিলাররা তেল দিচ্ছে না। তাই তেলের সংকট হয়েছে। এখানে আমাদের কোন হাত নাই।

কয়েকজন দোকানদার বলেন, তেলের ডিলাররা শুধু তেল দিতে চায় না। তেলের সাথে অন্য পণ্য ধরিয়ে দেয় যেগুলো কম চলে। এখন যেসব পণ্য কম চলে সেগুলো কিনে পুঁজি পড়ে থাকে। তাই তেল রাখতে পারছি না।

আবার কোন কোন দোকানদার বেশি দাম দিয়ে তেল কিনে আনার কথা বলেন। এ জন্য দাম দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সড়ক বাজারের ব্যবসায়ীয় কৃষ্ণপাল বলেন, সরকার বোতলজাত তেলের ১ লিটারের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৬২ টাকা। এই টাকায় কোম্পানিগুলো তেল দিতে পারছে না। আবার খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। তাহলে বোতল জাত বিক্রি করবে কিভাবে। তেলের দাম না পারানো পর্যন্ত এ সমস্যার সমধান হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে মাহমুদুল হাসান নামে এক ডিলার ফেসবুকে লেখেন, কোম্পানির কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও তেল পাচ্ছেন না। কোম্পানি তাদের ফোনও ধরছে না।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখব। কি জন্য এ সমস্যা হয়েছে। যদি ইচ্ছাকৃত সংকট করা হয়, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :