এডিস লার্ভা: ডিএনসিসির জরিমানা আদায় প্রায় ৮ লাখ টাকা

ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে বিশেষ মশক নিধন অভিযান পরিচালনায় সাত লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে এডিস লার্ভা পাওয়ায় মালিকদের এই জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ১০ দিনব্যাপী বিশেষ মশা নিধন অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোট ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর নং ৪, ৬, ৮ এবং ওয়ার্ড ১৭ এর নিকুঞ্জ-১,২ ও জামতলা, টানপাড়া এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নাইন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিতভাবে এডিস বিরোধী অভিযানে পাঁচটি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এসব অপরাধে পাঁচটি মামলায় মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং দুটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অঞ্চল-৬ এর ৫১ নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর-১১ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান চালান। অভিযান পরিচালনাকালে ২ টি স্থানে মালিকবিহীন পরিত্যক্ত টায়ারে ও দুটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা প্রাপ্তি স্থানসমূহের লাভা ধ্বংস করে লার্ভা প্রাপ্ত ২ জন ভবন মালিককে ২টি মামলায় ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, মেয়র মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে যেকোনো ভবনে, নির্মাণাধীন বাড়িতে, সরকারি বেসরকারি বা আধাসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে এমনকি সিটি করপোরেশনের কোনো অফিসে মশার লার্ভা পাওয়া গেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। লার্ভা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সারা বছরব্যাপী নিয়মিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলমান থাকে জানিয়ে সেলিম রেজা বলেন, এই মৌসুমে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা ইতোমধ্যে হট স্পর্ট চিহ্নিত করে অঞ্চল ও ওয়ার্ড পর্যায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি।
নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করে সেলিম রেজা বলেন, নিজ নিজ বসতবাড়িতে জমে থাকা পানি ফেলে দিয়ে এডিসের উৎপত্তি স্থল ধ্বংস করতে হবে, সবাই মিলে সচেতন হলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিনসিসির পুরো এলাকায় চারশত বর্গগজ আয়তনে বিভক্ত করে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক তালিকাবদ্ধ করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।
গত ১১ মে সকালে রাজধানীর উত্তরায় এডিস ও ডেঙ্গু বিরোধী নাগরিক সচেতনতামূলক পথসভায় অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসি এলাকায় ১০ দিনের মশা (ডেঙ্গু ও এডিস) নিধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ১৭ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
(ঢাকাটাইমস/১৭মে/কেআর/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজধানী এর সর্বশেষ

শুধু কীটনাশক দিয়ে নয়, ডেঙ্গুকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে: মেয়র তাপস

নতুন ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে, আশা মেয়র আতিকের

ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে: মেয়র তাপস

আজ থেকে মেট্রোরেল চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত

বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ সিটিতে গণ-লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি কাল

অনলাইনে পাখি বিক্রি, বনবিভাগের অভিযানে ৪০ পাখিসহ ধরা যুবক

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

তেলেগু-হরিজন সম্প্রদায় থেকে ৭৫ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দক্ষিণ সিটির
