নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ মে ২০২২, ১৪:৫৬

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীভাঙন কবলিত এলাকায় সরকারি সাহায্য তালিকা প্রণয়ণে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১ নম্বর বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাফর শিকদারের বিরুদ্ধে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় সোমবার (২৩ মে) সকাল ১১টায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মো. গফফার মিয়া নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গফফার মিয়া উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের মো. আজাহার মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকার অতিদরিদ্র-দুস্থ জনসাধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশনা আসে। সে মোতাবেক সম্প্রতি ১ নম্বর বুড়াইচ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাফর শিকদার ৪২ জনের একটি নামের তালিকা প্রণয়ন করে উপজেলা নির্বাহীর কার্যালয়ে জমা দেন। কিন্তু এই তালিকায় অতিদরিদ্র ও দুস্থ জনসাধারণদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম সম্পৃক্ত নির্দেশনা কোন ভাবে অনুসরণ করা হয়নি। তালিকায় ধনী, আর্থিকভাবে সচ্ছল, সরকারি কর্মচারী, একই পরিবারের একাধিক নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি নদীতে যাদের বাড়ি কোন ক্ষতির সম্মুখীনই হয়নি এমন ব্যক্তিদের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অথচ স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করে প্রকৃত অতি দরিদ্র-দুস্থ অসহায় মানুষদের নাম তালিকায় দেওয়া হয়নি।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আ. গফফার মিয়া বলেন, 'চার বার নদী ভাঙনের স্বীকার হয়েছি। এ পর্যন্ত ভাঙনের কারণে সরকারি কোনো ধরনের সহায়তা পায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি সাহায্যের তালিকায় থাকে যাদের গোলায় ধান, গোয়ালে গরু ও নগদ অর্থ আছে। আমার বাড়িতে এ পর্যন্ত একটা ঘরও দিতে পারি নাই। আমি ঋণের ভারে জর্জরিত। কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মেধাবী ছাত্রী হওয়া সত্ত্বেও পড়াতে পারিনি। অপর মেয়েকেও স্কুল বন্ধ করে দিয়েছি। একমাত্র ছেলেকে দুই বছর বিরতির পরে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। অথচ নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আমার নাম নেই।'

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাফর শিকদার বলেন, 'আমি তালিকায় কোনো অনিয়ম করিনি। আমি তালিকা প্রণয়ন করে উপজেলায় জমা দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করে যাদের নাম ভালো মনে করবে তাদেরকে সাহায্য প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে আমার কোন অভিযোগ নেই।'

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক জানান, 'নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ জনের একটি নামের তালিকা পেয়েছি। তবে এই তালিকার সবাই সরকারি সহায়তা পাবে না। মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করেই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করা হবে।'

(ঢাকাটাইমস/২৩মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :