ইউক্রেন যুদ্ধ আর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরানের তেল বিক্রি বেড়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ জুন ২০২২, ১৬:৩০ | প্রকাশিত : ১১ জুন ২০২২, ২০:৫২
ছবি- রয়টার্স

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকার পরেও তেলের বিক্রি বড়েছে ইরানে। ইরানের রাষ্ট্রায়াত্ব সংবাদ সংস্থা আইআরএনএর উদ্বৃতি দিয়ে খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আইআরএনএ এবং সরকারি সংবাদ পত্র ‘ইরান’ জানিয়েছে, ইরান এখন প্রতিদিন এক মিলিয়ন ব্যারেলের বেশি অপরিশোধিত তেল এবং গ্যাস কনডেনসেট রপ্তানি করছে।

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্বেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ মে পর্যন্ত চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ৪০ শতাংশ বেশি অপরিশোধিত, তেল ডেরিভেটিভস, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং গ্যাস কনডেনসেট বিক্রি করেছে দেশটি।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাইসি প্রশাসন বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞার সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা হয় ইরানের ওপর। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে প্রকৃতপক্ষেই অপরিশোধিত তেল এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি থেকে ফল পাওয়া ইরানের জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত পারমাণবিক চুক্তিটি ছিল ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব শক্তির মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যুগান্তকারী চুক্তি। যার লক্ষ্য ছিল নিষেধাজ্ঞা উপশমের বিনিময়ে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

কিন্তু ট্রাম্পের উত্তরসূরি জো বাইডেন পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি এখনো নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের মতে, দেশটি এই ক্ষেত্রেও ভাল করেছে। কারণ ইরানী ক্যালেন্ডারে বছরের প্রথম দুই মাসে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল এবং পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য বিক্রি করেছে যা আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।

যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ইরানের বিক্রি বেড়েছে বলে মানতে নারাজ দেশটির প্রশাসন। তাদের দাবি সরকারের প্রচেষ্টাতেই উল্লেখযোগ্য হারে তেলের বিক্রি বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে অর্থ গ্রহণেও সাফেল্য দেখিয়েছে ইরান সরকার।

ডেটা বিশ্লেষণ কোম্পানি কেপিএলআরের তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার ওপর মার্কিন ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রাশিয়ার ব্যাপক মূল্য ছাড়ের ফলে ক্রেতা ছাড়াই ট্যাঙ্কারে ৪০ মিলিয়ন ব্যারেল ইরানী তেল সংরক্ষণ করা হয়েছে এশিয়ার সমুদ্রে।

তারা আরো জানিয়েছে, এপ্রিলের আগে ইরানের অপরিশোধিত রপ্তানি দৈনিক এক মিলিয়ন ব্যারেলের কম ছিল এবং শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কারণে এপ্রিলে তা হ্রাস পেয়েছে।

কিন্তু ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাজারের পরিবর্তনের কারণে দেশের তেল রপ্তানি প্রভাবিত হতে পারে, তবে তেল রপ্তানি ব্যাপক আকারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে বিস্ফোরক আতঙ্ক, সন্দেহভাজন আটক

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ 

ইরানে হামলায় অংশ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই: ইরানি কর্মকর্তা

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়ার প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

ইরানে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা দিয়েছিলো ইসরায়েল: মার্কিন কর্মকর্তা

পাকিস্তানের জাপানি নাগরিকদের গাড়ি লক্ষ্য করে আত্মঘাতি বোমা হামলা, হতাহত ৫

ইরানে প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু

৩টি ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংস করল ইরান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :