চীনের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা স্থগিত করেছে চীন। চীনের এ সিদ্ধান্তকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আলজাজিরা জানায়, শনিবার (৬ আগস্ট) তাইওয়ান ও চীন ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
অ্যান্টনি অভিযোগ করেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে চীন। তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে শক্তি প্রয়োগের দিকে হাঁটছে।
ম্যানিলায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, সামরিক আলোচনা, মাদক, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা স্থগিতের সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রকেই ভোগাবে না। সারা বিশ্ব এর ফল ভোগ করবে।
‘‘চীনের সঙ্গে বেশ কয়টি সামরিক সহযোগিতার চুক্তি রয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং সংকট এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু সহযোগিতা স্থগিত করা মানে যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি দেওয়া নয়, এটি বিশ্বকে বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বকে শাস্তি দেওয়া।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। তার সফরকে কেন্দ্র করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। কিন্তু চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফর করেন ন্যান্সি।
ন্যান্সি তাইওয়ান ত্যাগ করার পরই তাইওয়ানের জলসীমার উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে চারদিন সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেয় চীন।
মহড়া প্রসঙ্গে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের ৬৮টি যুদ্ধবিমান, ১৩টি জাহাজ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। অবশ্য চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ ও ১০০টির বেশি যুদ্ধবিমান মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
সামরিক মহড়ার পাশাপাশি ন্যান্সি ও তার পরিবারের সদস্যদের চীনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আর সিনিয়র-স্তরের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে সংলাপ এবং জলবায়ু আলোচনাসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা কার্যক্রম বন্ধ করেছে চীন। এগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ ও মাদক পাচার প্রতিরোধ এবং অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/আরআর)

মন্তব্য করুন