হবিগঞ্জে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ৫ হাজার চা শ্রমিকের বিক্ষোভ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০২২, ২০:৪২

হবিগঞ্জে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ২৪টি চা-বাগানের প্রায় ৫ হাজার চা-শ্রমিক। মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে তারা এ বিক্ষোভ করেন।

শনিবার দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের চানপুর ও বিকাল ৩টায় পৌরশহরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

এতে নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জড়ো হয়ে চানপুর এসে মিলিত হয় ২৪টি বাগানের প্রায় ৫ হাজার চাশ্রমিক। পরে বিকাল ৩ টায় চুনারুঘাট পৌরশহরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করে। এতে পৌর শহরের প্রায় কয়েকশ গাড়ি আটকা পরে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন জিতু মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ, চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আলী আশরাফ উপস্থিত হয়ে তাদেরকে সান্ত্বনা দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, বাগান কর্তৃপক্ষ যদি দুই দিনের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদপ্তরে চা শ্রমিক ১০ নেতার সঙ্গে শ্রম দপ্তরের আলোচনা ব্যর্থ হলে শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।

এর আগে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ৯ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা এ কর্মবিরতি পালন করে হবিগঞ্জের চুনারুাটের ২৪টি বাগানসহ সারাদেশের চা বাগান শ্রমিকরা। বাগান মালিকদের তিন দিনের সময় দিয়ে তারা এ কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলামের দপ্তরে উপজেলার ২৪টি চা বাগানের ১০ প্রতিনিধি আলোচনায় বসেন। শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আলোচনা করে মজুরি বাড়ানোর জন্য আগামী ২৮ আগস্ট পুনরায় আলোচনায় বসার সময় চান শ্রম অধিদপ্তর। কিন্তু সেখানে কোনো মালিকপক্ষ ছিলেন না। ফলে আলোচনা ব্যর্থ হয়। রাতে চা শ্রমিক ইউনিয়ন শনিবার থেকে সব চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, শ্রম অধিদপ্তর আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করেছে। তারা আগামী ২৯ আগস্ট ত্রিপক্ষীয় আলোচনার সময় চেয়েছে। কিন্তু আমরা তাতে রাজি হইনি।

শুক্রবার উপজেলার সব চা বাগানে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন শেষে এক সমাবেশে তিনি সব চা বাগান একযোগে বন্ধের ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন যদি কর্তৃপক্ষ দুই দিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

চা সংসদের আহ্বায়ক তাহসিন আহমেদ বলেন, তাদের অযৌক্তিক আন্দোলনে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চা- শ্রমিকদের সঙ্গে বাগান কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের ঝামেলা নেই, অথচ তারা অযৌক্তিকভাবে আন্দোলন করছেন। তিনি জানান, তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকাকালীন তারা হঠাৎ করে এ কর্ম বিরতি ঘোষণা দেয় সেটা অবৈধ কর্ম বিরতি, যা শ্রম আইনের পরিপন্থী।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :