প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

সিবিজি মৎস্য সমবায় সমিতির প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।
রবিবার দুপুরে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে রতনদিয়া সিবিজি (মৎস্য) সমবায় সমিতির লিমিটেডের সভাপতি ইতি খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কালুখালী উপজেলার সর্ববৃহৎ মৎস্য সমিতি রতনদিয়া সিবিজি (মৎস্য) সমবায় সমিতি। এ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দকৃত ২ লাখ টাকার মধ্যে উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক নিজে ২০২১ সালের (২৭ মে) ১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৩ বস্তা চুন, ৫ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ২ বস্তা খৈল, ২ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ২ বস্তা টিএসপি, ১ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ২ বস্তা ইউরিয়া ও ২০২১ সালের (৩ জুন) ৬ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ৮৫ কেজি সিলভার কার্প, ৪০ হাজার ৯৫০ টাকা মূল্যের ৩১৫ কেজি রুই-কাতলা, (৩ জুন) ৮ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ৮ বস্তা মেগাফিড, (২২ জুন) ৪ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ৪ বস্তা মেগা ফিড, (২ আগস্ট) ৮ হাজার টাকা মূল্যের ১০ বস্তা আমান ফিড, (২ সেপ্টেম্বর) ১১ হাজার টাকা মূল্যের ১০ বস্তা মেগাফিড ও ৯ শত টাকা মূল্যের ২৫ কেজি খৈল, ১ হাজার ২শ টাকা মূল্যের ১ বস্তা টিএসপি, ৮০০ টাকা মূল্যের ১ বস্তা ইউরিয়াসহ সর্বমোট ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকার মালামাল প্রদান করেন। বাকি টাকা মালামালের জন্য বলা হলেও কালুখালী উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক দিচ্ছেন না। বারবার চাওয়া হলেও টাকা বা মালামাল দেননি। ২০২২ সালের (২৯ জুলাই) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের দিন মালামালের বিষয়ে হিসাব চাওয়া হলেও উপজেলা মৎস্য অফিসার খারাপ আচরণ করেন এবং পরে দেখা করতে বলেন। পড়ে ৩ বার দেখা করলেও হুমকি দেন।
কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ওই সমিতির অন্যান্য সদস্যরা সমিতির মাছ বিক্রির টাকার হিসাবের ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ করেন। আমি হিসাব চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন। তবে সঠিকভাবে উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মো. সজিব।
(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/এআর)

মন্তব্য করুন