সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার চেষ্টা

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের নামে সহায়তার কথা বলে সাংবাদিকদের কাছ থেকে এটিএম কার্ডের তথ্য নিয়ে টাকা আত্মাসাৎ করছে একটি চক্র। এরই মধ্যে দুজন সাংবাদিকের কাছ থেকে তারা টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বলছে, এই ধরনের অভিযোগ তারাও পাচ্ছেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে থানায় জিডি এবং সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করাও হয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নাম ভাঙিয়ে ঢাকা টাইমসের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করেন জনৈক ব্যক্তি। ফোনের অপরপ্রাপ্ত থেকে বলা হয়, ‘আপনি কী ওমুক বলছেন?’ ‘হ্যাঁ’ বলার পর ওই ব্যক্তি নিজেকে নাজমুল পরিচয় দিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট থেকে ফোন করেছেন বলে জানান।
সাংবাদিককে তিনি বলেন, ‘আপনার নামে আমাদের কাছে একটি চেক রয়েছে। তবে এবার আপনাকে চেক দেওয়া হবে না। আপনার এটিএম কার্ডের নম্বর বলুন। আর কার্ড সঙ্গে না থাকলে কার্ড হাতে নিয়ে ফোন করুন।’
ওই সাংবাদিক অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আবারও একটি নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয় আমার নামে একটি চেক আছে। আমি কোনো আর্থিক অনুদান চেয়ে আবেদন করিনি বলার পর অপরপ্রাপ্ত থেকে ফোনের লাইনটি কেটে দেয়।’
এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা টাইমস যোগাযোগ করে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুভাষ চন্দ্র বাদলের সঙ্গে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি এমন অভিযোগ আরো পেয়েছি। প্রতারক চক্র এই কাজ করছে। থানায় জিডি করেছি এবং সাইবার ক্রাইমেও অভিযোগ করেছি।’
‘কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের কোনো আর্থিক অনুদান দেওয়া হলে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। সেখান থেকে প্রতারকেরা তথ্য নিয়ে সাংবাদিকদের ফোন করে।’
সুভাষ চন্দ্র বাদল ঢাকা টাইমসকে আরও বলেন, ‘আমার জানা মতে, দুজন সাংবাদিককের কাছ থেকে তারা প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরমধ্যে একজনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে এখন সবাই সচেতন। এ নিয়ে সংবাদ হলে সবারই উপকার হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সাইবার পুলিশ স্টেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘একটি সরকারী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের একজন কর্মীর কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। আমরা ওই চক্রটি ধরেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণত এই চক্রটি ফোন করে ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, সিভিভি, পিন নম্বর চেয়ে থাকে। তবে বাস্তবে কোনো ব্যাংকও এসব তথ্য জানতে চাইবে না। কিন্তু চক্রটি এমনভাবে লোভনীয় প্রস্তাব দেয় যে কেউই তাদেরকে তথ্য দিয়ে দেয়। পরে তাদের ব্যাংক থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এএ/ডিএম)

মন্তব্য করুন