যমুনায় অবৈধ বালুঘাটে অভিযান, আগেই পালিয়ে যান বালুখেকোরা

শুকনো মৌসুমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চরাঞ্চলের ফসলি জমির বালুমাটি অবৈধ কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে ঘরবাড়ি, বসতভিটা, মসজিদ-মন্দির ও রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে চলে যায়। এই অবৈধ বালুঘাট নিয়ে ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিবার সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ঘাট বন্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু অভিযানের বিষয়টি আগেই টের পেয়ে বালুখেকোরা পালিয়ে যান।
সংবাদ প্রকাশের পর গত এক সপ্তাহে উপজেলার গোবিন্দাসীর খানুরবাড়ী, নিকরাইল ও অর্জুনার জগৎপুরা এলাকার বিভিন্ন অবৈধ বালুঘাটে ৪টির মতো অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে ফের শুরু হয় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেন জানান, যমুনা নদী থেকে শুকনো মৌসমে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী চরাঞ্চলের ফসলি জমির বালুমাটি কেটে বিক্রি করার কারণে ঘরবাড়ি, বসতভিটাসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে চলে যায়। এ নিয়ে স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ পেয়ে ওইসব অবৈধ বালুঘাটে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। জনস্বার্থে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/এলএ)

মন্তব্য করুন