শীতের সকালে যেসব খাবার খেলে শরীর সতেজ থাকে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০৮ | প্রকাশিত : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:১৯

ঘন কুয়াশা হিম বাতাস আর শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতের সকালে শিশির ভেজা সোনালি রোদের স্পর্শ পেতে কার না ভালো লাগে। তবে শীতের সকালে অনেকেরই লেপের উষ্ণতা ছেড়ে কাজকর্মে ফিরে যেতে বেশ কষ্ট করতে হয়। এ সময় সকালের নাশতার দিকে মনোযোগ অনেকেরই থাকে না। অফিসে একেবারে কাজে ডুবে থাকা ছাড়া উপায় নেই। ঘড়ি ধরে খাওয়া তো দূর, খাওয়ার সময়ই পাওয়া যায় না। দীর্ঘ দিনের এই অনিয়মে নানা রোগ হানা দেয় শরীরে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করাটাই দস্তুর। তেমনটাই বলে থাকেন চিকিৎসকেরা।

শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ঠান্ডা-কাশির মত রোগবালাই দূর করতে শীতের খাবার হিসেবে খাদ্যতালিকায় গমের তৈরি রুটি, ননীবিহীন দুধ, চর্বিহীন প্রোটিন ইত্যাদি রাখা উচিত। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম, কম মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত রাখতে সহায়তা করে। কিছু শীতের খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জেনে নিন শীতের সকালে যেসব খাবার খেলে শরীর সতেজ থাকবে-

লাল আটার রুটি

লাল আটার রুটিতে ফাইবার এবং ভিটামিন বি রয়েছে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরে উষ্ণ ভাব এনে দেয়। ভিটামিন বি দেহকে উষ্ণ রাখে।

ডিম

ডিম খেতে সবাই ভালবাসে। সেদ্ধ, হোক বা পোচ প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার প্রতিদিনের সকালে খেতেই হবে। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ রয়েছে।

মিক্সড ভেজিটেবল

মিক্সড ভেজিটেবলে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার থাকে , বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম এই সবজি। ত্বকের লাবণ্য ফিরে আনতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

চা

শীতের সকালে গ্রিন টি, তুলসী টি, অথবা আদা চা-এর উপকারিতা রয়েছে। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয়। তেমনি শরীরও সতেজ থাকে।

স্যুপ

স্যুপ খুবই হেলথি একটা খাবার। প্রতিদিন সকালে না হলেও যে কোনও একটা সময়ে স্যুপ খান। এতে শরীরে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ঠান্ডা দূর করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে।

মৌসুমি ফল

যেকোনো মৌসুমি ফল গ্রহণে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়।

মধু

শীতকালে মধুর কোনো বিকল্প নেই। গলার খুসখুস কমানোর পাশাপাশি মধু ঠান্ডা দূর করে।

দুধ

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ অবশ্যই রাখুন। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা শরীরের জন্য উপকারী।

কর্নফ্লেক্স

প্রতিদিন একঘেয়েমি খাওয়ার খেতে কারোরই ভাল লাগে না। তাই মাঝে মধ্যে কর্নফ্লেক্স খান। তার মধ্যে ফল মিশিয়েও খেতে পারেন।

ওটস

ওটস খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। ওটস অনেক ভাবেই খেতে পারেন। দুধ দিয়ে, খিচুড়ি করে যেটা ভাল লাগে সেভাবেই খেতে পারেন।

কলা

প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে কলা অবশ্যই রাখুন। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কলা খান।

মাখন

সকালের ব্রেকফাস্টে অবশ্যই মাখন খান। মাখন দিয়ে হালকা টোস্ট করে খেতে পারেন।

সুজি

সুজি দিয়ে অনেকরকম খাবার বানিয়ে নিতে পারেন। ঝাল হোক মিষ্টি দুরকমভাবেই এই সুজি বানিয়ে নিতে পারেন। এতে পেটও যেমন ভরা থাকবে তেমনি শরীরও ভাল থাকবে।

শসা

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যে মাথাব্যথা হয়, শরীরে অবসাদ আসে তা শশার উপাদান সমূহ যেমন – ভিটামিন বি ও সুগার এ সব দূর করে। শসায় অনেকটা ফাইবার থাকে। তাই বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ভাজাভুজি কিনে খাওয়ার প্রবণতা কমবে। কাজের ফাঁকে কয়েক টুকরো শসা খেয়ে নিলে শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে।

কাঠবাদাম

সকাল বেলা উঠেই দুটো কাঠ বাদাম খেয়ে নিলেই তরতাজা থাকা যায়। এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে রোজ কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত। প্রতিদিন সকালে দুটো করে কাঠ বাদাম যদি নাস্তার তালিকায় রাখেন, ফলাফল আপনি নিজেই পাবেন। কাঠ বাদামের সবথেকে শক্তিশালী গুণ হল, মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও এটি দক্ষ।

ঢাকাটাইমস/০৩ জানুয়ারি/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :