তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: মৃত্যু ৪৩০০ ছাড়িয়েছে

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এ পর্যন্ত চার হাজার ৩০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি সংস্থার প্রধান ইউনুস সেজার বলেছেন, তুরস্কে নিশ্চিত মৃতের সংখ্যা এখন বেড়ে ২৯২১ হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৩৪ জন।
দেশটির দুর্যোগ সংস্থা বলেছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর শুধুমাত্র তুরস্কে ২৯০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং ১৫০০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
সিরিয়ায় ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে উদ্ধার অভিযান চলছে।
যদিও তুরস্কে হিমাঙ্কের তাপমাত্রা, তুষারপাত এবং বৃষ্টি রাতভর জীবিতদের সন্ধানের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে। ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য চিৎকার করেন রাতে।
তুরস্কের দক্ষিণের একটি প্রদেশ হাতায়ে এক ব্যক্তি বৃষ্টির মধ্যে কাঁদছিলেন। তিনি রয়টার্সকে উদ্ধারকারীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার বর্ণনা দিচ্ছিলেন।
‘তারা শব্দ করছে কিন্তু কেউ আসছে না,’ ডেনিজ বলেন, মাঝে মাঝে হতাশার সঙ্গে তার হাত মুছতে থাকেন।
‘আমরা বিধ্বস্ত। ঈশ্বর...’ তারা ডাকছে। বলছে, ‘আমাদের বাঁচাও।’
‘কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না... সকাল থেকে কেউ নেই।’ বলছিলেন তিনি।
সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হোয়াইট হেলমেটের রায়েদ আল-সালেহ নামে একটি উদ্ধারকারী দল বলেছে যে তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা ব্যক্তিদের জীবন বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছে।’
ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদেরকে ভূমিকম্প অঞ্চলে গাড়ি না চালানোর জন্য সতর্ক করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট কেরেম কিনিক মানুষকে ত্রাণসামগ্রী দান করার জন্য ভূমিকম্প অঞ্চলে গাড়ি না চালানোর জন্য সতর্ক করেন।
‘রাস্তায় ৫০ মিটার ফল্ট ফ্র্যাকচারে যানবাহন পড়ে গেছে। রাস্তায় তুষার এবং বরফ রয়েছে,’ তিনি বলেন।
তিনি রেড ক্রিসেন্টকে খাবার, কম্বল, কোট ও বুট দান করতে লোকজনকে আহ্বান জানান।
গ্রুপটি আহতদের বাঁচাতে রক্তদানের জন্যও আহ্বান জানাচ্ছেন।
সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তের কাছে তুরস্কে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। এর ১২ ঘণ্টার পার হওয়ার আগে আরও একটি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি প্রদেশে এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। এখনো অসংখ্য মানুষ ধসে যাওয়া শত শত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের ফলে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। একেকটা ভবন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে বেশ কয়টি দেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনও তুরস্কে সহায়তা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে। সাহায্য পাঠাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
(ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/এফএ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

সৌদি আরবে রোজা শুরু বৃহস্পতিবার

চীনা প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফরের মধ্যেই ইউক্রেন সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী

কুরআন পোড়ানোর হুমকি: ড্যানিশ উগ্রপন্থি রাজনীতিককে নিষিদ্ধ করল ব্রিটেন

আমিরাতের অধিক বিমান চলাচলের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান ভারতের

শর্তসাপেক্ষে আইএমএফের ঋণ পেল শ্রীলঙ্কা

পাকিস্তানে গাড়িতে হামলায় পিটিআই নেতাসহ নিহত ১১

ইউক্রেনের প্রতি জাপানের ‘সংহতি ও সমর্থন’ অটুট থাকবে: কিশিদা

মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা বেইজিংয়ের কৌশলগত সিদ্ধান্ত: শি জিনপিং

চীন, রাশিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, নির্ভরযোগ্য অংশীদার: শি জিনপিং
