চকবাজার থানার ওসি ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পুলিশ সদরদপ্তরে অভিযোগ

চকবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইউম ও ইমামগঞ্জ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্টের মালিক আমিনুল ইসলাম মুরাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সদরদপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। সদর দপ্তরের আইজিপিস কমপ্লেইন সেলে অভিযোগ করেন মোক্তার হোসেন নামে এক গাড়ির মালিক। অভিযোগ নম্বর, এসএল-৭৭।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গাড়ি ভাড়া নিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মুরাদ। এটি জানতেন না বলে অভিযোগে দাবি করেন ওই গাড়ির মালিক। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মনমালিন্য হয়। পরবর্তীতে গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার রাখাকে কেন্দ্র করে গত ২৮ জানুয়ারি গাড়ির মালিক মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী মুরাদ বাদি হয়ে একটি প্রতারণা মামলা করেন, যার নম্বর ৭৩(১)২৩।
পুলিশ সদরদপ্তরে করা অভিযোগে বলা হয়, এ মামলায় গাড়ির মালিক মোক্তারকে চকবাজার থানায় দুই রাত একদিন আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এছাড়া ৫০ লাখ টাকা ঘুষও দাবি করেন থানার ওসি কাইউম সরকার। নয়তো অস্ত্র-মাদক মামলা দিয়ে চালানের হুমকি দেন। এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন ওসি। তিনি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায় মুরাদকে সহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইউম ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমি ফোনে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। এ আপনি থানায় আসেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শশক (মিডিয়া) মনজুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, এই বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব।
(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এএ/এসএম)

মন্তব্য করুন