বিশ্বে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ কোটি: অধ্যাপক ডা. ফিরোজ খান
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ খান বলেছেন, ‘বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ কোটি। দিন দিন কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) এবং বিশ্ব কিডনি দিবস (৯ মার্চ) সামনে রেখে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল ভবনে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. ফিরোজ বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী আশংকা করা হচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে অকাল মৃত্যুবরণ করবে। মৃত্যুঘাতী হিসেবে কিডনি রোগের অবস্থান দুই যুগ আগে ছিল ২৭তম, বর্তমানে এটা দাঁড়িয়েছে ৭ম এবং ২০৪০ সালে ৫ম অবস্থানে পৌঁছাবে।’
মতবিরিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল।
১৫ দিনব্যাপি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের কর্মসূচি ঘোষাণা করেন সভার সভাপতি ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম।
এসময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হবে। ক্যাম্পে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত রোগীদের কিডনি সম্পর্কিত সিরাম ক্রিপিনিন, ইউরিন আর ই/ পরীক্ষা ও ডেন্টাল চেক-আপ ফ্রি করা হবে।
ক্যাম্প চলাকালে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হাসপাতালের মূল রেট থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়া হবে। মাত্র এক হাজার টাকায় ৬টি পরীক্ষা (আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, সিবিসি, সিরাম ক্রিটিনিন, আরবিএস, ইউরিন আর/ই,) প্যাকেজে হেলথ চেক-আপ করার সুযোগ থাকবে।
৩৫ হাজার টাকায় প্যাকেজে কিডনির পাথর অপারেশন করা হবে (মেডিসিন ছাড়া)।
কিডনী দিবস উপলক্ষে পাঁচ জন দরিদ্র রোগীকে এক বছর পর্যন্ত কিডনি ডায়ালাইসিস ফ্রি করা হবে (মেডিসিন ছাড়া)। ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হবে এবং ১০ জন দরিদ্র শিশুর সুন্নাতে খাৎনা ফ্রি করা হবে (মেডিসিন ছাড়া)।
জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ, পোস্টার লাগানো, ব্যানার প্রদর্শন করা হবে এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মে সচেতনতা মূলক পোস্ট দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব কিডনি ফাউন্ডেশনস ২০০৬ সালে মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। সেই হিসেবে এবার ৯ মার্চ দিবসটি পালিত হবে।
(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/পিআর/এফএ)