৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালক হত্যা, গ্রেপ্তার ৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩৫

পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে সিএনজি চালক আবদুল হাকিমকে (৩৫)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ জনকে, উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কোদাল, একটি সাবল ও দড়ি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডে ১২ জন সরাসরি জড়িত ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিএনজি চালক হাকিম হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মমিন উল্যার ছেলে মহিম (২৭), একই এলাকার শাহাজানের ছেলে রিপু মিয়া (২১), আক্কাস সওদাগরের ছেলে জাহিদ হাসান (২৮), সেলিমের ছেলে সোহেল হোসেন শাকিল (২৪), মকবুল আহমেদের ছেলে মমিন উল্যাহ (৩৭), অজি উল্যা পাটোয়ারীর ছেলে নূল আলম মিস্ত্রী (৫৫), পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের আবদুল মালেক নিজামের ছেলে কামাল ডাকাত (৩৮) ও আনোয়ারুল হক নশুর ছেলে আজাদ হোসেন (৩২)।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সিএনজি জমা দেওয়ার কথা বলে চালক হাকিমকে তার বাড়ি পশ্চিম চরমটুয়ার সফিগঞ্জ বাজারের পাশে ডেকে নিয়ে যান সিএনজির মালিক মহিম। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই বাড়িতে ওঁৎপেতে ছিলেন, কামাল, রিপু, মোমেন, নুর আলম। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে মহিমসহ অন্য আসামিরা আবদুল হাকিমকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাশের ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যার পর মৃতদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে ওই ক্ষেতের মধ্যে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে চাষিরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটিন নিচ থেকে বস্তাবন্ধি অবস্থায় নিহত আবদুল হাকিমের মৃতদেহটি উদ্ধার করে। গত ২মার্চ এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবিনা বেগম বাদি হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫-২০জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে সিএনজির মালিক মহিম সহ ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩জন আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পনাকারী পূর্বের শত্রুতার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আবদুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থের লোভ দেখিয়ে আবদুল হাকিমের সিএনজির মালিক মহিমকে ব্যবহার করে। মহিম হত্যাকাণ্ড শেষ করতে কামাল, রিপু, মোমেন, নুর আলমসহ আরো কয়েকজনকে কাজে লাগায়। নিহত আবুদল হাকিম ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আগেও হত্যাসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :