ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমর যৌথ অর্থায়নে, ডিনেট Lesson Learnt Seminar on Fostering Responsible Digital Citizenship Project শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ঢাকার বারিধারায় একটি হোটেলে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সেমিনারে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পের অধীনে গৃহীত বিভিন্ন সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক, সচেতনতামূলক ও পরামর্শমূলক উদ্যোগের সফলতা ও শিক্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরে ভবিষ্যতে করণীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন খাতের কর্মকর্তা, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকে।
তারা বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের নানা সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন এবং অনলাইন মাধ্যমকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার বিষয়ে নানাবিধ পরামর্শ দেন।
সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাহবুবা পান্না, অতিরিক্ত সচিব (এইচআর) বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়, ফরিদ হোসেন, সম্পাদক, ইউএনবি নিউজ এবং ড. সাদিক হাসান, সহযোগী অধ্যাপক, জনপ্রশাসন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফানি ফারমাকি এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম থেকে নাইরা নিজাম।
সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় মাহবুবা পান্না বলেন, ‘কোভিড আসার পর যেমন সবার জন্য কোভিড সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক হয়েছিল, বর্তমানে ডিজিটাল সময়ে সবার জন্য এই ডিজিটাল সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করছি না কেন?’
ড. সাদিক হাসান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের শিষ্টাচারবোধ আসে বাস্তব জীবন যে ধরনের শিষ্টাচার আমরা অভ্যাস করি তার থেকে এবং এই শিক্ষা আমরা পরিবার থেকে পাই। বর্তমানে পরিবার কাঠামোতে পরিবর্তন আসায়, যথাযথ শিষ্টাচারবোধ তৈরি হচ্ছে না যার প্রভাব অনলাইন মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।’
ফরিদ হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল সিটিজেনশিপ বিদ্যালয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত তবে তার আগে ঠিক করা উচিত তাদের কাছে কি যাবে, কারা নিয়ে যাবে, কিভাবে নিয়ে যাবে।’
সেমিনারে ডিনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘এফআরডিসি প্রকল্পের মাধ্যমে, অসংখ্য তরুণ-তরুণীরা ডিজিটাল জগতে নিরাপদে তাদের অধিকার চর্চার ব্যাপারে অবগত হতে পেরেছে। তরুণ-তরুণীরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে এটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’
এই সেমিনারে আলোচিত বিষয়গুলোর বিস্তারিত তথ্যসমূহ প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com থেকে পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি এই ওয়েবসাইটে আছে তরুণদের জন্য সমাজবান্ধব বিভিন্ন বিনা মূল্যের কোর্স যা থেকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল নাগরিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে জানতে পারবেন। পাশাপাশি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। এটি তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন আনবে। এভাবে মানুষকে ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।
(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন