ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল হালিম শৈলকুপার দেবীনগর গ্রামের ছাত্তার মন্ডলের ছেলে।
জানা যায়, ঘটনার ১৩ বছর পূর্বে শৈলকুপার দেবীনগর গ্রামের আব্দুল হালিমের সঙ্গে ববিতা খাতুনের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই যৌতুকের দাবিসহ নানা কারণে স্ত্রী ববিতাকে নির্যাতন করতেন স্বামী আব্দুল হালিম। এই অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন তার স্বামী। পরে বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি মেহগনি বাগান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই দিনই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুল হালিমকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় ২০১৪ সালের ২৬ মে আাদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সেই মামলার শুনানি শেষে আদালত আব্দুল হালিমকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই আসামি পলাতক রয়েছে।
ববিতা খাতুনের মা ও মামলার বাদী সালেহা বেগম বলেন, আমার একমাত্র মেয়েকে নির্মমভাবে যে মেরেছে তার বিচার আল্লাহ করেছে। আমি খুব খুশি। তবে ওই পিশাচকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। আমি মরার আগে তার বিচার দেখে যেতে চাই। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট বজলুর রশীদ বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি। এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে বার্তা পৌঁছাবে। এরকম কাজ করতে যেন কেউ সাহস না পায়।
(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন