খুনের হুমকির পরই বাড়ানো হলো সালমান খানের নিরাপত্তা

বহু দিন ধরে জীবন সংশয়ে আছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। একের পর এক খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। সেই ধারাবাহিকতায় গত শনিবারও ই-মেইল বার্তায় আসে হুমকি। এর পরদিন আরও জোরদার করা হলো সালমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হয়েছে মামলাও।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর বলছে, বলিউড ভাইজানকে ই-মেইলে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার এবং অন্য একজনের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৫০৬(২), ১২০(বি) এবং ৩৪-এর অধীনে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় মামলা হয়েছে।
নিউজ এজেন্সি এএনআই টুইট করে জানিয়েছে, ‘সালমান খানকে ই-মেলে হুমকি দেওয়ার পরই মুম্বাই পুলিশ তার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করেছে। বান্দ্রা পুলিশ আইপিসির ৫০৬(২), ১২০(বি) এবং ৩৪ ধারায় মামলাও করেছে।
জানা গেছে, ই-মেইলটি রোহিত গর্গ নামে একজন পাঠিয়েছিলেন এবং উল্লেখ করেছিলেন যে কানাডিয়ান গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সালমান খানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে চান। এতে গ্যাংস্টার বিষ্ণোইয়ের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের কথাও উল্লেখ আছে। যেখানে বিষ্ণোই বলেছেন, সালমানকে হত্যা করাই তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই কয়েক মাস ধরে দিল্লির তিহার জেলের বাসিন্দা। সম্প্রতি সেই জেল থেকেই দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সালমানকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি তা না করা হয় তবে তার পরিণতি সিধু মুসেওয়ালার মতই হবে। সালমানের নিরাপত্তা কমলেই তাকে হত্যা করা হবে।
গত বছর পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে দিনেদুপুরে ব্যস্ত রাস্তায় গুলি করে হত্যা করে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণাইয়ের লোকেরা। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সালমান খানের প্রতি তার এতো কিসের রাগ? কেন তিনি বলিউড ভাইজানকে হত্যা করতে চান।
সেই কারণ জানতে পিছিয়ে যেতে হবে দুই দশক। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য কৃষ্ণসার হরিণ। এই হরিণের রক্ষকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সালমান খানের উপর যোদপুরে ছবির শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান।
এর আগে বেশ কয়েক বার সালমান খানকে শার্প শ্যুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে সে জানিয়েছিল, ‘যোদপুরে সালমান খানকে আমরা হত্যা করব।’
গত বছরের ২৯ মে প্রকাশ্য দিবালোকে মাঝ রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা সিধু মুসেওয়ালাকে। যার দায় নিয়েছিল কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার, যিনি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।
এর কয়েক দিন পরেই সকালে হাঁটতে বেরিয়ে হুমকি চিঠি পান সালমান খান। যেখানে তাকে ও তার বাবা সেলিম খানকে সিধুর মতোই মেরে ফেলার কথা বলা হয়। এরপর বাড়ানো হয় সালমানের নিরাপত্তা। এছাড়া বন্দুক সঙ্গে রাখার অনুমতিও পান তিনি। গাড়ির কাচও বদলে বুলেটপ্রুফ করে নেন বলিউড টাইগার।
(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এজে)
সংবাদটি শেয়ার করুন
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
বিনোদন এর সর্বশেষ

ব্যাটারি গলিতে এবার কুত্তা মিজান-এতিম আকবরদের বিয়ে নিয়ে লড়াই

ফের বড়পর্দায় শ্যামল মাওলা

সিনেমায় কাজ করবেন ছোটপর্দার সামিরা মাহি, যদি…

বলিউড তারকাদের কার কী বদঅভ্যাস রয়েছে জানুন

শয্যাসঙ্গী হওয়ার একাধিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন টলিউডের পূজাও! তবে…

গভীর বন্ধুত্ব ছিল জন-সালমানের, শত্রুতার শুরু কীভাবে?

রজনীকান্তকে নিয়ে লেখা খোলা চিঠিতে আবেগঘন মেয়ে ঐশ্বর্য

রাজ-পরীমনির মিলন আবার কবে?

নগদের সঙ্গে যুক্ত হলেন পরীমনি
