অবশেষে আরাভ খানের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০:৪০| আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৮
অ- অ+

অবশেষে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নামে রেড নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।

বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউল ইসলামের নাম পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ২০ মার্চ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, ‘আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

রেড নোটিশে আরাভ খানের জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাট, বয়স ৩৫ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় তার নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করা হয়েছে। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি।

২০১৮ সালের ৮ জুলাই পুলিশ পরিদর্শক মামুন খুন হন। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তার দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে রবিউল, সুরাইয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

মামলার ১০ আসামির মধ্যে দুজন কিশোরী। তারা জামিনে আছে। অন্য আটজনের মধ্যে রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩) বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি এখন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মামুন হত্যাকাণ্ডের পর রবিউল ওরফে আরাভ ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বিয়ে করেন। পরে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। পাসপোর্টে নাম দেওয়া হয় আরাভ খান। এই পাসপোর্ট নিয়েই তিনি চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গত সপ্তাহে দুবাইয়ে তার মালিকানাধীন ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ কয়েকজন তারকা যোগ দেন। এই প্রেক্ষাপটে আলোচনায় আসেন আরাভ।

অন্যদিকে পরিদর্শক মামুন খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়া অপর ছয় আসামিও বলেন, রবিউল যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বনানীর ফ্ল্যাটটির দায়িত্বে ছিলেন দিদার। তিনি জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দেড় বছর আগে রবিউলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। যৌন ব্যবসা করার জন্য রবিউল বনানীর ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। একসময় তিনিও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছিলেন ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপক। তিনি, আতিক, স্বপন, মিজান ও সারোয়ার ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। রবিউলের নির্দেশে ফ্ল্যাটে মেয়েদের সঙ্গে পুরুষের আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করতেন তারা।

যদিও পরবর্তী সময় সুরাইয়াসহ সাত আসামি আদালতের কাছে জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। লিখিতভাবে আদালতের কাছে দাবি করেন, পুলিশের ভয়ে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারা পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খুনের সঙ্গে জড়িত নন।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে ৫ সদস্যের কমিটি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
শিবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৭
সাইকেল কেনার জন্য ৩ হাজার টাকা চুরি, দেখে ফেলায় দুই খালাকে খুন
ফরিদপুর সদরপুরে তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা