ঈশ্বরগঞ্জে জমির বিরোধে ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় চাচা ও তার লোকজনের হাতে ভাতিজা রুবেল মিয়া খুন হওয়ায় ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, আ. আলী (৬০) ও তাইজুল ইসলাম (৫৫)। এ ঘটনায় এর আগে পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হামলার শিকার হন রুবেলসহ তিন ভাই। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল মারা যান।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারপাড়া গ্রামের নেওয়াজ আলীর দুই ছেলে আবদুল খালেক ও আবদুল আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কোনো সন্তান না থাকায় আবদুল আলী স্ত্রীর নামে সব সম্পত্তি লিখে দেন। পৈতৃক সম্পত্তি দুই ভাইয়ের মধ্যে সঠিকভাবে বণ্টন না হওয়ার আগে আবদুল আলীর স্ত্রীকে জমি লিখে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরিবারে অসন্তোষ তৈরি হয়। সম্পত্তি মাপ ঝোঁক করে বুঝে নেওয়ার জন্য আবদুল খালেকের ছেলেরা বললেও তা করছিলেন না আবদুল আলী। উল্টো আবদুল আলী নিজের শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে জমি দখলে রাখেন।
গত রবিবার সকালে জমিতে পাকা ধান কাটতে যায় আবদুল আলীর স্ত্রীর ভাই ইসলাম উদ্দিন ও তাঁর লোকজন। এ সময় জমি থেকে ধান কাটতে নিষেধ করেন আবদুল খালেকের ছেলে রুবেল মিয়া। এরপর দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রুবেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। রক্ষা করতে এগিয়ে এসে আহত হন তাঁর ভাই আবু হানিফা, আবদুস সোবহান ও রাকিবুল ইসলাম। পরে তাঁদের উদ্ধার করে মমেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক রুবেল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে রুবেলের বড় ভাই আজিজুল হক বলেন, ‘চাচার সঙ্গে জমি নিয়ে সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা চাচার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এসে আরও বড় করে তোলে। জমি মাপ-ঝোঁক শেষ না করেই আমাদের ভোগ করা জমির ধান কাটা শুরু করে চাচা ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এতে নিষেধ করায় আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/এআর)