বাহারছড়া পাহাড়ে র‍্যাবের অভিযান: আরসা নেতা ছলেসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ মে ২০২৩, ২৩:৩৭ | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২৩, ২৩:৩১

কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়কেন্দ্রিক একের পর এক অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাতসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা এই ছলে।

শুক্রবার রাত ৯টা থেকে দুই ঘণ্টার অভিযানে টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

রাতে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, কক্সবাজারে বেশকিছু দিন ধরে একের পর এক অপহরণ, মুক্তিপণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছিল। এসব ঘটনায় কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ ও র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল নজরদারি শুরু করে। দীর্ঘ নজরদারির এক পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় কক্সবাজার টেকনাফ কেন্দ্রিক এসব অপরাধ ঘটিয়ে আসছিল ছালেহ বাহিনী নানে একটি বাহিনী। এ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন। তাকে গ্রেপ্তারে আজ শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়।

অভিযানে অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন ও তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাতসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, কক্সবাজারে এসব ঘটনায় জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন। এ যুবক বর্তমানে আরসা প্রধান আতাউল্লাহর পরেই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছলের গ্রুপে অপহরণ বাণিজ্যে জড়িত ১০ থেকে ১৫ জন। কক্সবাজারের গহীন পাহাড়ে ছলের আস্তানাও রয়েছে।

মিয়ানমার থেকে দেশে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা থাকলেও সরকারিভাবে ছলের কোনো নামের তালিকা পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ছলে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা নয়। প্রতিবারই অপরাধ করে তিনি আবার মিয়ানমারে আত্মগোপন করেন।

টেকনাফের বাহারছাড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে অপহরণ এখন নিত্যদিনের ঘটনা। একের পর এক ঘটনা ঘটলেও কারা অপহরণে জড়িত তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরে অপহরণকারীরা। অপহরণের পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। ফেরত আসা ব্যক্তিরা প্রাণনাশের ভয়ে অপহরণকারীদের সম্পর্কে কিছু বলছেন না।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আরসা নেতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন বর্তমানে আরসার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবার নাম মো. শফি। মাতা লতি বানু বেগম। মিয়ানমার থেকে এদেশে প্রবেশ করলেও ছলে বা তার পরিবার রোহিঙ্গা তালিকাভুক্ত না। দেশে থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকায় কাগজে-কলমে নাম না থাকায় অপহরণ-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ নির্বিঘ্নে করে আসছেন ছলে উদ্দিন। ছলের গ্রুপের সদস্যরা নানা অপরাধে জড়িত।

বিশেষত সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণের ঘটনার প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন এই ছলে। আরসা নেতা আতাউল্লাহর নির্দেশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে অবস্থা করে ছলে বাহিনী। সেখানেই অপহৃতদের জিম্মি করে রাখা হয়। পরে অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই ছলে ও তার দলবল মিয়ানমারে আশ্রয় নেয়।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে থেকে ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে মানবপাচারে জড়িত এই ছলে বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকলেও ছলের নাম রোহিঙ্গা তালিকায় না থাকায় তাকে আইনের আনা সম্ভব হচ্ছে না।

(ঢাকাটাইমস/০৫মে/এসএস/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

জুতা রাখা নিয়ে দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ী সাবেরকে খুন, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দুদকের

চুরির মামলা তদন্তে নেমে একে একে মিলল ৫ অস্ত্র

শিল্পী পরিচয়ে ভয়ংকর মাদক কারবারে গায়ক রেবেল, কাজ করতেন ‘ভাইজানের’ হয়ে

২৮ অক্টোবর অছিম পরিবহনে ছাত্রদলনেতার আগুনে প্রাণ যায় নাঈমের, যেভাবে রহস্য উদঘাটন

কেরাণীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার 

সোনালী লাইফের বহিষ্কৃত সিইও মীর রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

চাকরির পরীক্ষার আগেই মিলত উত্তর, চুক্তি ১২-১৪ লাখ টাকায়: ডিবি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :