হরিণাকুণ্ডুতে বিকল্প ব্যবস্থা না করেই ভাঙা হলো ক্লাসরুম, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা

মো. শাহানুর আলম, ঝিনাইদহ
| আপডেট : ০৭ মে ২০২৩, ২১:৫৭ | প্রকাশিত : ০৭ মে ২০২৩, ২১:৪৪

বিকল্প ক্লাসরুমের ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি করে ভেঙে ফেলা হলো পুরাতন ভবনের দুটি ক্লাসরুম। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। তারা শুধু স্কুলে যায়, শিক্ষকদের সময় কাটানোর জন্য ছোট্ট একটি রুমের ভেতরে ছাত্রছাত্রীরা গাঁদাগাঁদি করে বসে সময় কাটিয়ে চলে আসে। ক্লাসটিতে দু-তিন ক্লাসের বেঞ্চও রয়েছে। স্কুলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারি থেকে শেষ হতে আগামী বছরের মার্চ/এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগবে। আর এত দীর্ঘসময় শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার বাইরে থাকলে অনেকেই হারিয়ে যাবে বই খাতা কলম থেকে। আর এসব নিয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা ম্যানেজিং কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলাকে প্রধান্য দিচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই করুন অবস্থা, বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে স্থাপিত। পুরাতন বিল্ডিং ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করাবার মতো কোনো ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হয়নি। এ নিয়ে স্কুলের কোমলমতি ছাত্রছাত্রী এবং অভিবাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া কাজ করছে। এ বিষয়ে কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আনন্দ ঘোষ জানান, স্কুল মাঠে জায়গা কম, কাজ চলাকালে এখানে লেখাপড়া হবে না, এ সময়ে বন্ধ রাখায় ভালো বলে তিনি মনে করেন। তা না হলে অন্য কোনো জায়গায় স্থানান্তরিত করা যেতে পারে। কারণ কাজ চলার সময় ছোট বাচ্চাদের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

ক্লাসরুম সংকটের ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিজিয়া বেগম জানান, আমরা উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে আবেদন জানিয়েছিলাম, তারা বললেন এখন দ্রুত কোনো কিছু করারতম ব্যবস্থা নেই, প্রকল্প করে পাঠালে সময় লাগবে।

এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, বিকল্প ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করার জন্য আমি প্রধান শিক্ষককে বলে দিয়েছি, ওনি স্কুল পরিচালনা কমিটি নিয়ে বসে কাজটি সমাধান করবেন।

বিষয়টি নিয়ে কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এখন কোন ডেউটিন নেই, থাকলে আমি করে দিতাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বলে কাজটি করা যায় কিনা চেষ্টা করব বলে তিনি জানান।

বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষ্মিতা সাহা কাজের মান ভালো হচ্ছে বলে জানান, এ সময় তিনি কোমলমতি ছাত্রদের বিকল্প ক্লাসরুমের ব্যাপারে তড়িৎ কোনো ব্যবস্থা না করতে পারলেও চিন্তা ভাবনা করছেন বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/৭মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :