কলাপাড়ায় নির্মিত হলো এলজিইডির নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু

এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
| আপডেট : ১৯ মে ২০২৩, ১৬:৩২ | প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২৩, ১৫:৫৭

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ও কৃষকদের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতে এলজিইডির অর্থায়নে পাখীমারা খালে নির্মিত হল নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু। পাখীমারা খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি দুই বছর আগে খালের ওপর ভেঙে পড়ার পর নতুন কোন সেতু নির্মিত না হওয়ায় সমস্যায় পড়ে গ্রামবাসী।

গামইরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা খাল পারাপারের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল যেতে পারতো না। সেতু তৈরি হবার পরে নিরাপদে শিশুরা চলাচল করতে পারছে। সেতুটি নির্মাণের ফলে ওই ইউনিয়নের গামইরতলা, মজিদপুর, কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা এখন অনায়াসে চলাচলসহ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারবে।

উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত হল নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, চার লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০টি প্লাস্টিকের ড্রামের উপর কাঠের পাটাতন করে নান্দনিক এ ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ৮ ফুট প্রস্থের ভাসমান সেতুটি দুই পাশে রেলিংসহ তৈরি করা হয়েছে। যাতে এর ওপর দিয়ে নিরাপদে শিশুরা চলাচলসহ বাই সাইকেল চালিয়ে স্বাচ্ছন্দে খাল পার হতে পারে।

এছাড়া ড্রামগুলি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে সেতুর ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে। আর এ ভাসমান সেতু পাল্টে দিয়েছে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা, মজিদপুর, কুমিরমারা গ্রামীন জনপদের চিত্র। নান্দনিক এ সেতু নির্মাণের পর শেষ বিকালের আলোতে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেও আসছে ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ।

গামইরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্নিমা রানী বলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে হঠাৎ করে একদিন খালের ওপর আয়রন ব্রীজটি ভেঙে পড়ে। এসময় সেতুতে থাকা ৪/৫ কিশোর আহত হয়। এরপর নতুন করে কোন সেতু নির্মাণ না হওয়ায় শিশুরা স্কুল যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ে। কেননা স্কুলের অন্তত: ৭০ ভাগ শিশু আসতো খালের ওপারের মজিদপুর গ্রাম থেকে। এতে স্কুলটিতে উপস্থিতির হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। অবশেষে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভিন সীমা বিষয়টি উপজেলা পরিষদের নজরে আনেন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ায় এলজিইডি। পাখীমারা খালে নির্মিত হয় ভাসমান ড্রাম সেতু।

উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভিন সীমা জানান, গামইরতলা আমার গ্রামের বাড়ি। ওটি আমার স্কুল। শিশু শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে খালের ওপর এলজিইডি ভাসমান ড্রাম সেতু নির্মাণ করে দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়, এলজিইডি প্রকৌশলীসহ নির্মাণের সময় তদারকি করেছি। যাতে ঠিকাদার শিশুদের নিরাপদ চলাচল উপযোগী করে কাজ সম্পন্ন করে।

কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, ’ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় পর সেখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কোমলমতি শিশুদের স্কুল যাতায়াতে খালের ওপর একটি ভাসমান ড্রাম সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কয়েকটি গ্রামের কৃষক চলাচল সুবিধাসহ তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। তবে, এখানে বড় একটি সেতু করার প্রস্তাবনাও ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :