যেসব খাবার দাঁতের এনামেলের ক্ষয় করে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ মে ২০২৩, ০৯:২২
অ- অ+

দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্ম বুঝে না। সুস্থ দাঁতে সুন্দর হাসির জন্য সকলের উচিত দাঁত থাকতে দাঁতের যত্ন নেয়া। সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাসের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে সুস্থ দাঁত। ঝকঝকে সাদা সুন্দর দাঁতের স্নিগ্ধ সতেজ হাসি অনেক কথা বলার চেয়েও বেশি কাজ করে। চকোলেট থেকে আইসক্রিম— দাঁতের ক্ষতি করতে পারে এমন খাবারই সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। তাতে মন ভাল থাকলেও দাঁত কিন্তু ভাল থাকছে না একেবারেই। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি অজান্তেই দাঁতের ক্ষতি করে চলেছে। কম বয়সেই দাঁতের সমস্যায় নাজেহাল হতে না চাইলে কোন খাবারগুলো থেকে দূরে থাকা জরুরি। জেনে নিন যেসব খাবার বেশি খেলে দাঁতের এনামেলের ক্ষয় করে-

চকোলেট

ক্যান্ডি, চকোলেট দাঁতের জন্য একেবারেই ভাল নয়, সে কথা জেনেও অনেকেই এগুলি থেকে দূরে থাকতে পারেন না। এই ধরনের খাবারে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড থাকে, যা দাঁতের এনামেলের ক্ষয় করে। তা ছাড়া চিবিয়ে খাওয়ার ফলে দীর্ঘ ক্ষণ সেগুলি দাঁতের সংস্পর্শে থাকছে। যা দাঁতের জন্য একেবারেই ভাল নয়।

সাইট্রাসজাতীয় ফল

সাইট্রাসজাতীয় ফলে ভিটামিন সি থাকে ভরপুর পরিমাণে। ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো— এই ধরনের ফল উপকারী। তবে দাঁতের স্বাস্থ্যের যেন ততটাও ভাল নয়। লেবু, আঙুর, পাতিলেবুর এই গোত্রে পড়ে। স্বাস্থ্যকর হলেও দাঁতের স্বার্থে এই ফলগুলো বেশি পরিমাণে না খেলেই ভাল।

সোডাজাতীয় পানীয়

তৃষ্ণা মেটাতে এই ধরনের পানীয় খাওয়ার জনপ্রিয়তা কম নেই। সাময়িক শান্তি দিলেও আসলে সোডা, নরম পানীয় দাঁতের ক্ষতি করে। এই পানীয়গুলিতে চিনির পরিমাণ বেশি। ফলে চিনি যে দাঁতের জন্য ভাল নয়, তা কমবেশি সকলেই জানেন।

ড্রাই ফ্রুটস

অ্যাপ্রিকট, কিশমিশ, খেজুর শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। তবে দাঁত ভাল রাখতে নয়। কারণ এই খাবারগুলিতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। চিনি দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যাওয়ার কারণ। এ ছাড়া দাঁতে ব্যথা, দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।

চা এবং কফি

ক্লান্তি দূর করতে ঘন ঘন চা, কফির কাপে চুমুক বসালে শরীর হয়তো চাঙ্গা হয়। বারোটা বাজে দাঁতের। এমনিতে খুব গরম পানীয় খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। আর সেই পানীয় যদি হয় কফি, তা হলে মুশকিল আরও। তাই চা, কফি খাওয়ার পর যদি মুখ কুলকুচি করে নেওয়া যায়, তা হলে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

দাঁত সুস্থ রাখতে যেসব খাবার খাবেন

আঁশযুক্ত খাবার দাঁত ও মাড়ির পরিচ্ছন্নতাকারী বা ডিটারজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এগুলো লালা নিঃসরণে সহায়তা করে, যা ক্যাভিটির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গম, ভুট্টা, শিমের বীজ—এ জাতীয় শস্যদানায় আঁশের পাশাপাশি আছে ম্যাগনেশিয়াম, যা এনামেলকে সুরক্ষা দেয়। বিভিন্ন ধরনের ফল, যেমন কমলা, জাম্বুরা, আনারসে যে ভিটামিন সি, ডি ও ক্যালসিয়াম আছে, সেটাও দাঁতের জন্য উপকারী। আপেল খেলে লালা নিঃসরণ বাড়ে, তা ছাড়া দাঁতের দাগ দূর হয়। তবে টক ও অম্লযুক্ত ফল খাওয়ার পর ভালোভাবে কুলি করে নিতে হবে।

পনির, দুধ, দই ও দুগ্ধজাত খাবার দাঁতের হাড়ের জন্য উপকারী। এতে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম আছে, যা দাঁতের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। চিনিবিহীন চুইংগাম চিবানোর কারণে প্রচুর লালা উৎপন্ন হয় এবং এতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা দূর হতে ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। দাঁতের সুস্বাস্থ্যে ফ্লুরাইডের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। দাঁত সুস্থ রাখার জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। এই পানি মাড়িকে আর্দ্র রাখে, আটকে থাকা খাদ্যকণা দূর করে ও এনামেলের ক্ষয় রোধ করে।

মিষ্টি খাবার অন্য খাবারের সঙ্গে খাবেন। প্রথমে অন্য খাবার খেলে লালা নিঃসৃত হবে, যা ক্ষতি কিছুটা প্রশমিত করবে। দিনে দুবার ব্রাশ ও একবার ফ্লস ব্যবহার করুন। মিষ্টি ও আঠালো খাবার গ্রহণের পর ব্রাশ করুন। ফল বা ফলের রস পান করার পর কুলি করুন।

মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত শাক-সবজি ও ফল (যেমন: লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, গাজর, টমেটো, শসা ও লেবু) খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, শসা, আপেল ও পেয়ারা ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে অনেকটা টুথব্রাশের মতোই কাজ করে, যা দাঁত সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিষ্কারেও সহায়তা করে।

(ঢাকাটাইমস/২৩ মে /আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের জন্য চালু করল মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা
নির্বাচন সিস্টেমের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে: সিইসি
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প থেকে ইয়াবাসহ তিন কারবারি গ্রেপ্তার
মালদ্বীপে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত ড. নাজমুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা