বাড্ডার রেনু হত্যাকাণ্ড: সাক্ষীরা আসছে না, কবে শেষ হবে বিচার?

আশিক আহমেদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ মে ২০২৩, ১১:৫৬ | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৩, ১১:৩৪

প্রায় চার বছর হতে চলল রাজধানীর বাড্ডার আলোচিত রেনু হত্যাকাণ্ড। এই সময়ে মামলার ৩৬ সাক্ষির মধ্যে মাত্র ১২ জনের সাক্ষ্য দিয়েছেনত। সাক্ষীরা নির্ধারিত দিনে আদালতে না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা যাচ্ছে না। এর ফলে এ মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে, সরকারি কৌঁসুলি বলছেন, ‘১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, একটি হত্যা মামলা প্রমাণ করতে বেশি সাক্ষী দরকার হয় না।’

ছেলেধরা সন্দেহে সংঘবদ্ধভাবে পিটিয়ে হত্যার এই ঘটনায় করা মামলায় বুধবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন আদালতে সাক্ষী না আসায় ১৫ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত। আলোচিত মামলাটির বিচার চলছে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদের আদালতে।

আরও পড়ুন>> ‘অবৈধ বিয়ে’: ক্রিকেটার নাসির-তামিমা দম্পতির কী শাস্তি হতে পারে?

আরও পড়ুন>> রতনে রতন চিনল কেমনে

বুধবার ঢাকা মহানগর ষষ্ঠ দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কাশেম বলেছেন, ‘চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদিন কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১৫ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করেন।’

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর ষষ্ঠ দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. হাফিজুর রহমান তোতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এই মামলার পরবর্তী তারিখ ১৫ জুন। এখন ঠিকমত সাক্ষী না এলে কী করা যাবে? এই মামলায় আমি নিজ দায়িত্বে ১২ জনের সাক্ষ্য করিয়েছি। আর বেশি দরকার হবে না। একটি হত্যা মামলা প্রমাণ করতে বেশি সাক্ষী দরকার হয় না।’

তিন দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল: তাসলিমা বেগম রেণু হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে ২৪ মে দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

রেণু হত্যা মামলায় ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির (প্রাপ্ত বয়স্ক) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কণিকা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেণু। এ সময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে সংঘবদ্ধ জনতা। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন নিহত রেণুর ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এএ/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

ডিবি এখন আস্থার জায়গা: রেজাউল করিম

নিয়মবহির্ভূত সুবিধা নিয়ে ও আইন ভেঙে মুনাফা লুটছে ইউনাইটেড পাওয়ার

ইউনাইটেড গ্রুপের রাজা-পুত্রসহ হত্যা মামলার আসামি, কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে?

জসীমের হাজার কোটির সম্পদ! নিজেকে বাঁচাতে খুঁজছেন রাজনৈতিক সুযোগ, এখন আত্মগোপনে?

মার্কিন কোম্পানির মামলা ইস্যু: ‘লুটেরাদের দায় কেন নেবে অন্তর্বর্তী সরকার?’

সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা একের পর এক গ্রেপ্তার, এরপর কে? আতঙ্ক আমলাতন্ত্রে

মোজাম্মেলকে টাকা দিলেই মুক্তিযোদ্ধা সনদ, শিক্ষার প্রকল্পে কমিশন ছাড়া বুঝতেন না নাহিদ

দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদন: নয়াদিল্লির লোধি গার্ডেনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রতিবেশী শেখ হাসিনা!

সেই ছাত্রলীগ এই ছাত্রলীগ

আঠারোর নির্বাচনের আগে গোপন বৈঠকের অভিযোগ ছিল, হেলালুদ্দীন ছিলেন বিতর্কিত সচিব

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :