ভূঞাপুর পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৩, ১৮:০৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা তাবাসতুম ও ফলদা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলায় পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ৩১ জন দায়িত্ব পালন করছেন। তাহমিনা তাবাসতুম ২০২১ সালের অক্টোবরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান। যোগদানের পর থেকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস এবং অডিট খরচের নামে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেন।

এছাড়াও পরিবার কল্যাণ সহকারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন টিএফপিও তাহমিনা তাবাসতুম। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পরিবার কল্যাণ সহকারীদের উঠান বৈঠকের বিল এক হাজার ২০০ টাকা পাওনা থাকলেও সেগুলো দেয়া হয়নি। করোনার সময় টিকা প্রদানের জন্য সরকার টাকা দিলেও তারা পায়নি।

এছাড়া মাঠ কর্মচারিদের ভ্রমণ ভাতা হতে ৪০-৫০ শতাংশ টাকা আদায় এবং অন্যান্য সকল ভাতা হতে বাড়তি মোটা অংকের উৎকোচ জোরপূর্বক আদায়ের অভিযোগের করা হয়। ফলদা ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রেজাউল করিম উপজেলা অফিসে দাপ্তরিক কাজ করছে। ফলে তার নিজ কর্মস্থল ফলদায় না গিয়ে উপজেলা অফিসে অবস্থান করেন।

পরিবার কল্যাণ সহকারী (এফডাকিব্লিউএ) নাজমিন নাহার ও আয়শা সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন সময় মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন টিএফপিও। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে বিভিন্ন ভাতার টাকা নিতে হয়। করোনার টিকা, উঠান বৈঠক বিলসহ বিভিন্ন টাকা কর্মীদের দেয়া হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার জানানো হলে খারাপ আচরণ করা হয় কর্মীদের সঙ্গে। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে প্রতিকার পাওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে ফলদা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, নিজ ইউনিয়নেই কাজ করি। কর্তৃপক্ষ ট্যাবলসূটার হিসেবে কাজের দায়িত্ব দেয়ায় মাঝে মধ্যে উপজেলা অফিসে গিয়ে সমস্যা দেয়া ট্যাবগুলো ঠিক করে দেয়া হয়। এছাড়া টিএফপিও’র সঙ্গে মাঠ পরিদর্শনে যাওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অফিযোগ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাহমিনা তাবাসতুম জানান, দুইজন এফডাব্লিউএকে কর্মস্থলে উপস্থিত না পেয়ে শোকজ করার ১৫ দিন পর আমার ও একজন পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়া হিসাব রক্ষক অবসর হওয়ার কারণে তাদের ৬ মাসের বিল বাদ রয়েছে কিন্তু সেগুলো তারা পাবেন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া দুর্ব্যবহারের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সত্য নয়।

এ প্রসঙ্গে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আইভি ইয়াছমিন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :