বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নেই: রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৮ জুন ২০২৩, ২১:২৭| আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ২১:২৯
অ- অ+

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটস্কি বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়ার কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তাই আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। সম্প্রতি গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ এবং রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা দেশসমূহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত করছে।

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে রাশিয়ার সহায়তায় তৈরি পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাবে কিংবা বাধাগ্রস্ত হবে কিনা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আলেক্সান্ডার মন্টিটস্কি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলতি বছরের অক্টোবরেই পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল মোতাবেক পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ শুরু করবে রাশিয়া।

পাবনার কাছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২ দশমিক ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করবে। ইতিমধ্যেই ২০২০-২০২১ সালে এই প্ল্যান্টের উভয় রি-এ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

মন্টিটস্কি বলেন, রাশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রে সফলভাবে কূপ খনন করছে। সম্প্রতি ভোলা দ্বীপে ২০তম কূপ খননের কাজ শেষ হয়েছে। গ্যাজপ্রম বাংলাদেশে তার কার্যক্রমের পরিধি আরও বাড়াতে ইচ্ছুক। রাশিয়া বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ২০২২ সালে আমাদের সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি প্রায় ৯ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম সরবরাহ করেছে, যা বাংলাদেশের আমদানির ৪২ শতাংশ। এছাড়া, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়াই বাংলাদেশের পটাশ সারের অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারী দেশে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে রাশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং রাশিয়ান কোম্পানি ন্যাশনাল গ্রুপ এলএলসি-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় আলু এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা যাবে। তিনি বলেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ, পাট, চামড়া এবং সামুদ্রিক খাবারের চাহিদা রয়েছে এবং এর যথেষ্ট সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন নুরুল আলম, মো. শহীদুল ইসলাম, বিপুল বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন খোকন, হাজেরা শিউলী, নুরউদ্দিন আলমগীর এবং হামিদুল ইসলাম।—বাসস।

ঢাকাটাইমস/০৮জুন/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমলো
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কোন পাত্রে পানি পান করা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরাইল, স্থায়ী শান্তিতে উদ্যোগী ট্রাম্প
সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২ চলচ্চিত্র, তালিকা প্রকাশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা