খুলনা সিটি নির্বাচন: প্রচার-প্রচারণা শেষ, ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
খুলনা ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২৩, ২৩:১১

আর মাত্র একদিন পরই খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে কঠোর নজরদারি আর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে খুলনা নগরী।
শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে কেসিসি নির্বাচনের সকল প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা শেষ সময়ে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যপক প্রচারণা। নানা প্রতিশ্রুতি আর ভোটের আবেদন নিয়ে নগরবাসীর দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছেন প্রার্থীরা। পথসভা, কর্মিসভা ও গণসংযোগসহ নানা উপায়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আ’লীগের একক প্রার্থী হিসেবে তালুকদার আব্দুল খালেক প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না হলেও তার সাথে লড়ছেন জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুল আউয়াল, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (মুশফিক) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন।মেয়র পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই না থাকলেও জমে উঠবে কাউন্সিলর নির্বাচন। ২৪ ও ১৩নং ওয়ার্ডে দু’জন কাউন্সিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হলেও লড়াই হবে অন্য সবগুলো ওয়ার্ডে।
এবারের নির্বাচনে সাধারণ ৩১টি ও সংরক্ষিত ১০টি নিলে মোট ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিাতা করছেন ১৭৫ জন প্রার্থী।
নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা প্রায় দুই হাজার ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটরিং করবে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা। জানা গেছে, কেসিসিতে এ বছর ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে তার ভোট প্রদান করবেন। ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সহজ করতে এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে।
ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, কেসিসি নির্বাচনে এবার ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের সামনে একটি করে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকবে।
এছাড়া এক হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামী ১২ জুন ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।তিনি জানান, সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরপত্তায় একজন অস্ত্রসহ এসআই/এএসআই একজন, তিনজন কনস্টেবল, অস্ত্রসহ একজন আনসার (পিসি), অস্ত্রসহ একজন (এপিসি), ১০ জন আনসার সদস্যসহ মোট ১৬ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী লোক নিয়োগ থাকবে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। র্যাবের টিম ও বিজিবি নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও কেন্দ্র অনুযায়ী থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম।এদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে টহল শুরু করেছে বিজিবি সদস্যরা।খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা চারদিন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রসহ নগরীর সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি, পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট প্রায় সাত হাজার পাঁচশ’ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি প্লাটুনে ২০ জন করে বিজিবি সদস্য রয়েছেন। আজ থেকে ৪ দিন তারা নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবির টহল টিমের সঙ্গে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
(ঢাকাটাইমস/১০জুন/এআর)

মন্তব্য করুন