সফটওয়্যার জটিলতায় বন্ধ নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে যাত্রী পারাপার

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০২৩, ০৯:৩০

প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও-ডালু ইমিগ্রেশন দিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় আছেন সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের পক্ষ থেকেই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালুর নির্দেশ এলেও নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনে কম্পিউটারের সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনও শুরু করা যায়নি যাত্রী পারাপার। ওই তথ্য নিশ্চিত করেছে নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালের মার্চের ২২ তারিখ করোনার কারণে এ স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার এবং সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে পাথর, কয়লা আমদানি শুরু হলেও বন্ধ থাকে যাত্রী পারাপার।

এক পর্যায়ে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত বছরের ২৬ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরির এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে সেসময় ভারতের ডালু ইমিগ্রেশন বন্দর চালুর অনুমতি না পাওয়ায় যাত্রী পারাপার সম্ভব হয়নি। তবে গত ৭ জুন ভারতের তুরা জেলার পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ সিং স্বাক্ষরিত এক আদেশে ডালু ইমিগ্রেশন চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনে কম্পিউটারের সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনও শুরু করা যায়নি যাত্রী পারাপার।

জানা যায়, ময়মনসিংহ বিভাগসহ আশপাশের কয়েক জেলার পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং রোগীরা নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কম খরচে ও অল্প সময়ের মধ্যে ভারতে যেতে পারতেন। তবে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনসহ অন্য বন্দর দিয়ে ভারতে যান তারা। এতে তাদের খরচ যেমন বেড়েছিল ঠিক তেমনি নষ্ট হতো সময়ও। এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হলে খুব সহজেই চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা ভ্রমণের জন্য কম খরচে ভারত যেতে পারবেন যাত্রীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ চন্দ্র শীল বলেন, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত শুরু হলে আমাদের খুব উপকার হবে। যাতায়াত যখন চালু ছিলো তখন বছরে অন্তত তিনবার ভারতে আত্মীয়দের বাসায় ও ডাক্তার দেখাতে যেতাম। তবে ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় গত প্রায় ৪ বছরে একবারও যেতে পারিনি। এদিক দিয়ে যাতায়াতও সহজ, খরচ কম হয় এবং সময়ও কম লাগে।

নাকুগাঁও আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হলে ব্যবসারও ব্যাপক প্রসার ঘটবে। ব্যবসায়ীরা ভারতে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। এতে এই এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে।

আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ঢলের স্রোতে নিখোঁজ দুই সন্তানসহ মায়ের পরিচয় মিলেছে

নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন পুলিশের এস আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, কম্পিউটার সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ চলমান থাকায় যাত্রী পারাপার শুরু করা যায়নি। আপগ্রেডের কাজ সম্পন্ন হলে এবং ঢাকা থেকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে যে কোনো সময় পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :