আখাউড়ায় আশ্রয়ণের ঘরের পাশে জলাবদ্ধতা, বাসিন্দাদের দুর্বিষহ জীবন

ঘরের সামনে পানি। পানি উঠেছে চুলোয়। পানিতে তলিয়ে গেছে টয়লেটের রিং। নোংরা পানির দুর্গন্ধে অসহনীয় পরিবেশ। পানি জমেছে চলাচলের রাস্তায়। এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চরনারায়ণপুর এলাকার সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায়। গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন এখানকার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে সারা দেশের ন্যায় আখাউড়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক ভূমিতে আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে আখাউড়ায় সাড়ে ৬শ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়ণপুর এলাকায় ৭৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৬০টি উপকারভোগী পরিবার বসবাস করছেন।
গত কয়েক দিন ধরে আখাউড়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের একটি পাইপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি সরতে পারছে না। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পরিবারগুলো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় পানি জমে আছে। টয়লেটের রিং পানিতে তলিয়ে গেছে। ছোট শিশুরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ময়লা নোংরা পানি মাড়িয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন বাসিন্দারা।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা কাজল মিয়ার স্ত্রী আবেদা বেগম ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমার এক মেয়ে মৃগী রোগী। তাকে নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকি। ছোট একটা নাতি আছে। কখন পানিতে পরে যায় সব সময় এই আতঙ্কে থাকি।
পারুল বেগম নামে আরেক নারী ঢাকা টাইমসকে বলেন, টয়লেটের ময়লার রিং পানিতে তলিয়ে গেছে। খুব অসুবিধা হচ্ছে। দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যায় না। তাছাড়া রান্নার চুলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
সবিতা রানী বর্মন নামে আরেক বাসিন্দা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঘরের সামনে ময়লা নোংরা পানি। রাস্তায় পানি। ঘর থেকে বের হতে পারি না। ময়লা পানিতে হেটে সন্তানদের পায়ে ঘা হয়ে গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প বাসিন্দাদের সভাপতি নিলেশ বর্মন ঢাকা টাইমসকে বলেন, প্রায় ১৫ দিন ধরে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। চলাফেলা করা যায় না। পানি নিষ্কাশনের ১টি পাইপ বন্ধ হয়ে গেছে। এ জন্য পানি সরে না। পাইপটি মেরামত করে দিলে পানি সরে যেত।
আরও পড়ুন: কনস্টেবল হয়ে এসআই পরিচয়ে বিয়ে, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেব।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এসএম)

মন্তব্য করুন