গোয়ালন্দ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুদকে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০২৩, ২১:৩৮

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভার একজন বাসিন্দা দুদকে এ অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তিনি উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডল গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন-ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম জানান, গোয়ালন্দ মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।

গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, কে অভিযোগ করেছে, কী অভিযোগ করেছে– সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না। গোয়ালন্দ যুবলীগে শহিদ শেখ নামে কেউ নেই। কোনো চিঠি বা কাগজপত্রও তিনি পাননি। মেয়রের কি বিল তুলে নেওয়ার ক্ষমতা আছে? তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট ও তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করতে অনেকেই অনেক রকম কথা বলতে পারে। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে। সামনে নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে কলুষিত করে বিএনপিসহ অন্যান্য লোকজন সুবিধা নিতে পারে।

অভিযোগকারী গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নছরউদ্দিনপাড়ার বাসিন্দা ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শহিদ শেখ। তিনি জানান, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন-ফরিদপুর কার্যালয়ে মেয়র নজরুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পর গত ২৫ মে ঢাকা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। দুদুকের তদন্তে দৃশ্যমান গতির প্রত্যাশায় তিনি গত ২৬ জুন উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত গঠিত বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে দুদুককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে শহিদ শেখ উল্লেখ করেছেন, গোয়ালন্দ পৌর মেয়র নজরুল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে দৌলতদিয়া ঘাট, যৌনপল্লিতে অবৈধভাবে আয় করে কোটি টাকার মালিক বনে যান। ২০২১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে গোয়ালন্দের পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে কমিশনে কাজ পাইয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। পৌরসভার কাঁচাবাজারের দর ১০ লাখ টাকা উঠলেও পৌরসভার তহবিলে সাত লাখ টাকা জমা দিয়ে বাকি তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরও অভিযোগ করেছেন তিনি।

পরে অভিযোগের কপি তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালে তিনি ফোন করে বলেন, অভিযোগকারী শহিদকে চিনতে পেরেছেন। শহিদ গোয়ালন্দ পৌর এলাকার মধ্যে একটি ঘর তুলতে গিয়েছিলেন। ওই জায়গাটি নিয়ে মামলা চলছে। তিনি (নজরুল) তাঁকে নোটিশ করেছিলেন। এ কারণে শহিদ তার ওপর ক্ষুব্ধ। শহিদকে ডেকে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইবেন বলে জানান তিনি।

শহিদ শেখ গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ পৌর যুবলীগ সভাপতি ও গোয়ালন্দ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউনুস মুন্সী।

(ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :