শাহজালাল বিমানবন্দরে ২৩৮৯ পিস ইয়াবাসহ ২ যাত্রী আটক
হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডমেস্টিক ফ্লাইটের ২ যাত্রীকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। আটককৃতরা হলেন- আব্দুল মান্না খাঁন এবং নাহিদ শিকদার। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৩৮৯ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এপিবিএনের একটি সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, আব্দুল মান্না খাঁন এবং নাহিদ শিকদার নামে দুইজন যাত্রী সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে নভো এয়ারের ভিকিউ-৯৩৬ ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরন করেন। এসময় আগে থেকে তৎপর থাকা এপিবিএনের গোয়েন্দা দল তাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন লোকেশন থেকে আটক করে। নাহিদ শিকদারকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী এলাকা থেকে এবং আব্দুল মান্নানকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহায়তায় যৌথভাবে ১ নম্বর আন্তর্জাতিক টার্মিনালের পার্কিং এলাকা থেকে আটক করা হয়। যাত্রীদের এপিবিএনের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের তাদের কাছে ইয়াবা রয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এ সময় যাত্রী আব্দুল মান্না তার পরিহিত প্যান্টের পকেট থেকে একটি পাউচে রক্ষিত ৯৩৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিজ হাতে বের করে দেন। অন্যদিকে যাত্রী নাহিদ সিকদারকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী এলাকা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে তিনিও স্বীকার করেন যে তার কাছে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা ইয়াবা রয়েছে। এ সময় যাত্রী নাহিদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়া জানান যে, এর আগেও ২০২০ সালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার অভিযানে অভিযুক্ত নাহিদ ইয়াবা সহ আটক হওয়ায় তার নামে মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তিনি আবারো এই কাজে জড়িত হয়েছেন। দুইজন যাত্রীই কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বাসিন্দা এবং দুজনেই একই (ভিকিউ ৯৩৬) ফ্লাইটে কক্সবাজার থেকে ঢাকা অবতরণ করেন। তাদের মধ্যে কোনো প্রকারে যোগাযোগ বা যোগসাজশের কথা তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অস্বীকার করেছেন। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে জানা যায়। যাত্রীদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এএ/ইএস