মহেশপুরে ধান-গম সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৫:১৬

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা খাদ্য গুদামে চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও প্রায় শেষ সময়ে ধান ও গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ইরি-বোরো মৌসুমে এক হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে মাত্র ৯৫৯ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ২৭২ মেট্রিক টন গমের স্থানে এক ছড়াকও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ।

সরকার ধানের দাম বাড়িয়ে ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করলেও তা পূরণ হয়নি। গত মে মাসের ১৩ তারিখ থেকে ধান-চাল ও গম সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। যা আগামী ৩০ শে আগষ্ট পর্যন্ত চলবে।

এদিকে দুর্নীতি, অনিয়ম, কৃষক হয়রানিসহ নানান কারণে খাদ্য গুড়ামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলার একাধিক কৃষক।

কৃষি অফিসের তথ্য সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে ২১ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে। শেষের দিকে কিছুটা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলেও কৃষকরা ভালো ধান পেয়েছেন।

উপজেলার রুপদাহ গ্রামের কৃষক মশিয়ার রহমান জানান, ইরি-বোরো মৌসুমে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। খাদ্যগুদামে ধানের দাম ভালো থাকলেও সেখানে বিক্রিতে আগ্রহ নেই তার। খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে নানান জটিলতা পোহাতে হয়। গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে অযথা কারণ দেখিয়ে হয়রানি করা হয়। এছাড়াও তালিকায় অকৃষকদের নাম থাকায় প্রকৃত কৃষকদের মূল্যায়ন করা হয় না। কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কিছু অসাধু ব্যক্তি ওখান থেকে সুবিধা নিয়ে থাকেন।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, গুদাম দরের তুলনায় বাজার দর বেশি হওয়ায় কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখান না। মিলারদের কাছে এক মণ ধান দিয়ে ২৬ কেজি চাল নেওয়া হয়। সেখানে একটু ভালো ধান কিনতে হয়। তবে এখানে কোনো কৃষক হয়রানি হয় না।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :