ভালুকায় সড়ক বন্ধ করে পরীক্ষা, জনদুর্ভোগ চরমে
ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ফাজিল মাদরাসার মাঠ দিয়ে সরকারি পাকা রাস্তা থাকায় বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুপাশে গেট বন্ধ করে দেয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলরত শত শত যানবাহন ও পৌর এলাকার কয়েকটি মহল্লার বাসিন্দাসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজনকে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভালুকা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব ভালুকা ফাজিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে মাঠ দিয়ে সরকারি পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ভালুকা-গফরগাঁও সড়ক থেকে বের হয়ে সরকারি ওই সংযোগ সড়কটি ভালুকা-মেদিলা সড়কে গিয়ে মিশেছে। আর প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে থাকে।
এদিকে মাদরাসাটিতে বর্তমানে দাখিল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষা কেন্দ্র (১) হিসেবে ব্যবহার করার কারণে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বছরের প্রায় অর্ধেক সময়ই রাস্তাটির দুপাশে লোহার গেট দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। বিকল্প সড়ক না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি মহল্লার বাসিন্দা, এমনকি মেদিলা, আশকা, বিরুনীয়া, খারুয়ালী, পনাশাইলসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, শিল্প শ্রমিক ও চলাচলরত যানবাহনের যাত্রীদের। ফলে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী পথচারীরা বিভিন্ন লোকের বাড়ির উঠান ব্যবহার করে বা প্রায় চার কিলোমিটার ঘুরে থানামোড় হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
পথচারীদের দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান চেয়ে স্থানীয়রা সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ বরাবর অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা ওয়ালিউল ইসলাম জানান, মাদরাসার মাঠ দিয়ে সরকারি রাস্তা থাকায় কয়েক এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। বর্তমানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় রাস্তাটি দুপাশে লোহার গেট বন্ধ রাখা হয়। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজনসহ কয়েক এলাকার বাসিন্দাদের।
ওই সড়কে চলাচলকারী অটোযাত্রী হারুন মিয়া জানান, বিভিন্ন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুপাশের গেট বন্ধ থাকায় বছরের প্রায় অর্ধেক সময় চার কিলোমিটার ঘুরে বা বিভিন্ন লোকজনের বাড়ির উঠান দিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়।
ভালুকার পৌর মেয়র ডা. একেএম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম জানান, এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে মাদরাসার পিছন দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরির জন্য ইতোমধ্যেই মাটি ফেলার কাজ চলছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ওই সমস্যার সমাধান হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৯ আগস্ট/ ইএইচ)