সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ সাইনবোর্ডেই দায় শেষ

অভিজিত রায় কৌশিক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৪

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটি ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধের সতর্কবার্তা ঝুলছে ভবনটির দোতলায়। আর সামনের ফুটপাতে নানা পণ্য নিয়ে বসছে হকাররা।

প্রায় ছয় মাস হলেও সাততলা ভবনটি সংস্কারে এখনো উদ্যোগ নেয়নি মালিকপক্ষ। গত ৭ মার্চ ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণহানি হয়েছিল ১৮ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি নিয়ে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছিল রাজউকের তদন্ত কমিটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝুকিপূর্ণ ভবনটির প্রধান ফটক তালাবদ্ধ। আন্ডারগ্রাউন্ডসহ নিচতলার চারিদিকে ফ্লাইবোর্ড ও পাটের তৈরি চট দিয়ে ঘেরা। দোতলা থেকে সাততলা পর্যন্ত কক্ষের জানালাগুলো খোলা। ভবনের সামনের ফুটপাতের ওপর চলছে হকারদের ব্যবসা। বিস্ফোরণের ফলে ভবনটির পাশের একটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ভবনটি সংস্কার করা হচ্ছে।

সিদ্দিকবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এই ভবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাজউকের হাতে। তারা রাখতে বললে থাকবে ভাঙতে বললে ভাঙা হবে। তারা সিদ্ধান্ত দিলেই আমাদের ওপর দায়িত্ব আসবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান সংস্থাটির (সদস্য) মেজর (অব.) ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা ৫ দফা সুপারিশ দিয়েছি। সেখানে ভবনটি ভেঙে ফেলার কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত এসেছিল ভবনটিকে ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (ডিইএ) করে সেই অনুযায়ী এটাকে মেরামত করা। আর এই মেরামতটা ভবনের মালিক তার নিজের খরচে করবেন। আমার কিছু জানা নেই।’

ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বিষয়ে কি করা হচ্ছে জানতে যোগাযোগ করা হলে ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার ভগ্নিপতিকে রাজউক ডেকেছিল। কি সিদ্ধান্ত বা কি করা হবে তিনি বলতে পারবেন।’

কী ছিল রাজউকের পাঁচ সুপারিশে:

>>ভবনটিতে প্রপিং (ভাররক্ষা) করতে হবে। এর যে কলামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য প্রপিং করা।

>>ভবনটির সামনের সড়কের ২৫/২৬ ফিট বাদ দিয়ে একাংশ দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। তবে, রাতে রাস্তাটি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। বিপরীত লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।

>>৪৫ দিনের মধ্যে মালিকপক্ষকে বিশেষজ্ঞ কোনো থার্ড পার্টি দিয়ে ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (ডিইএ) করতে হবে। ডিইএ রিপোর্টে যে ডিজাইন আসবে সেই ডিজাইন অনুযায়ী রেট্রোফিটিংয়ের কাজ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে।

>>ডিইএ ও রেট্রোফিটিংয়ের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভবনটি বসবাস বা ব্যবহারের উপযোগী হবে না।

>>সুপারিশের ভিত্তিতে কাজগুলো শেষ রাজউক সার্টিফিকেট দেবে যে, ভবনটি ব্যবহার করা যাবে।

প্রসঙ্গত, সিদ্দিক বাজারের ক্যাফে কুইন স্যানিটারি মার্কেট নামে ওই ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৮ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়। ওই দুর্ঘটনার পর ধসে পড়ার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ভবনটি।

ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের ঘটনার দুদিন পর ডিবি পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা ভবনের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনে থাকা বাংলাদেশ স্যানেটারি নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মোতালেব মিন্টু।

(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

কোরবানির ঈদ সামনে, মশলার বাজারে উত্তাপ

প্রতিমন্ত্রীর শ্যালকের অপহরণকাণ্ড: ১৬ দিনেও গ্রেপ্তার হননি আলোচিত লুৎফুল হাবীব

মে দিবস বোঝে না শ্রমিকরা, জানে ‘একদিন কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে’

গামছা বিক্রেতা থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক, মনে আছে সেই গোল্ডেন মনিরকে?

সোনার ধানের মায়ায় হাওরে নারী শ্রমে কৃষকের স্বস্তি

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর বার্তা দেবে আ. লীগ 

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন: চাহিদা বেড়েছে তরমুজের, ক্রেতা কম ডাবের

গাছ কাটার অপরাধে মামলা নেই 

কথায় কথায় মানুষ পেটানো এডিসি হারুন কোথায়? থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের তদন্ত কোথায় আটকে গেল?

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :