বগুড়ার আইএইচ‌টির অধ‌্যক্ষ‌কে বদ‌লি

বগুড়া প্রতি‌নি‌ধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৩০

বগুড়ার ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) আলোচিত অধ্যক্ষ আমায়াত-উল-হাসিনকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আইএইচটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আমায়াত-উল-হাসিনকে বাগেরহাটের ম্যাটসের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে বদলি করা হলো। একই সঙ্গে মাদারিপুরের ম্যাটসে সংযুক্ত করা হয়েছে তাকে।

এছাড়া বগুড়ার আইএইচটির সিনিয়র লেকচারার মো. ওমর ফারুক মীরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হলো।

বদলির এই আদেশে আরও বলা হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে বদলিকৃত স্থানে যোগদান করতে হবে। না হলে আট কার্যদিবসে স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে গণ্য হবেন।

এর আগে সোমবার সকা‌লে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বগুড়া আইএইচটিতে আসে। কমিটির সদস্যরা দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ১১ জন শিক্ষার্থীর অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের অল্টারনেটিভ মেডিসিন বিভাগের উপপরিচালক গউসুল আজিম চৌধুরী। অন্য দুজন হলেন ঢাকা আইএইচটির সহকারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান এবং বগুড়া আইএইচটির জুনিয়র প্রভাষক ডা. আব্দুল কাদের।

এদি‌কে, ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। অধ‌্যক্ষ‌কে বদ‌লি করা হ‌য়ে‌ছে‌ কিন্তু সজল ঘোষ‌কে এখনও গ্রেপ্তা‌র কর‌তে পা‌রে‌নি পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার ম‌ধ্যে সজল ঘোষ‌কে গ্রেপ্তার করবে এরকম আশ্বা‌সে আমরা গতকাল সড়ক‌ থে‌কে স‌রে গে‌ছি। সজল‌কে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমা‌দের আন্দোলন চা‌লি‌য়ে যা‌বো।

বদ‌লি বিষ‌য়ে জানতে চাইলে ডা. আমায়াত-উল-হাসিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, একজন আসামি এখনও বাইরে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে কেন জিজ্ঞেস করছেন না?

এ সময় তাকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আপনি উপস্থিত ছিলেন কিনা এমন পাল্টা প্রশ্নে তিনি জবাব দেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আমিও ছিলাম। আমি আমার রুমে ছিলাম সেই সময়।

উল্লেখ‌্য, গত ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও হোস্টেলের মিল ম্যানেজার আমিনুল ইসলামকে মারধর করেন সজল কুমার ঘোষ। এই মারধরকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ফুঁসে ওঠে। প্রায় দু ঘণ্টা সড়ক অবরোধ রাখার পর তারা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসে ছাত্রলীগ নেতা সজল কুমার ঘোষের নানা অপকর্ম ও নির্যাতনের কাহিনী। সেই সঙ্গে কলেজটির অধ্যক্ষ ও শিক্ষকমণ্ডলীর চরম অবহেলা উঠে আসে। এর মধ্যে অধ্যক্ষ আমায়াত-উল-হাসিনের সঙ্গে সজল ঘোষের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ও অপকর্মের প্রশ্রয়ের বিষয়গুলো অভিযোগ আকারে তোলেন শিক্ষার্থীরা। যদিও শুরু থেকেই সজল ঘোষের কলেজে অপকর্মের সকল ঘটনা জানার বিষয় অস্বীকার করে আসছেন অধ্যক্ষ।

তখন থেকেই শিক্ষার্থীরা কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। তারা তিন দফা উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো বহিরাগত সন্ত্রাসীকে আশ্রয় ও প্রশ্রয়দানকারী অধ্যক্ষ ডা. আমায়াত-উল-হাসিনের অপসারণ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ইভটিজিংকারী সজল ঘোষের গ্রেপ্তার ও শাস্তি এবং সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

(ঢাকা টাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :