শাহ আমানত ও মাস্টার দা’র নামে হচ্ছে দুই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:২৮

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাস্টার দা সূর্য সেনের নামে হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর নতুন দুই সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ। দশতলা বিশিষ্ট এই দুই ভবনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে প্রকল্পে প্রায় ৩০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের জন্য প্রস্তুত হলে সেখানে ১২ শ’র বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাস্টার দা সূর্য সেন সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ হচ্ছে উত্তর পতেঙ্গার স্টিল মিল এলাকায়। প্রায় দুই একর ভূমির ওপর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্কুল এন্ড কলেজ হচ্ছে দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয় নগর এলাকায়। প্রায় এক একর ভূমির উপর নির্মাণাধীন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তর পতেঙ্গার মাস্টার দা সূর্য সেন সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয় নগর এলাকায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্কুল এন্ড কলেজের নিচতলার কলামের ঢালাইয়ের কাজ চলছে। বর্তমানে দু’টি ভবনের মোট অগ্রগতি ৩০ শতাংশ।

নয়টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক রায়হানা তসলিম বলেন, বিদ্যালয়ের জন্য জমি নির্বাচন এবং পরবর্তীতে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু কারণে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করতে কিছুটা সময় লেগেছে। এখন দ্রæত গতিতে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালে একনেকে অনুমোদন পায় নয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প। ৪৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির অধীনে চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় শহরে দুটি করে, ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে ও জয়পুরহাট এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণের কথা রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে থাকবে আধুনিক ভৌত অবকাঠামো সুবিধা ও যুগোপযোগী শিক্ষা সামগ্রী। বিভাগীয় শহরের সাতটি বিদ্যালয়ে ১০ তলাবিশিষ্ট এবং জেলা-উপজেলা শহরের দুইটি হবে ৬ তলাবিশিষ্ট।

সম্প্রতি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্কুল এন্ড কলেজে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকবে আইসিটি ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরি, মাল্টিপারপাস হল রুম, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষক কমনরুম, নামাজের কক্ষ, দর্শনার্থী কক্ষ, বিএনসিসি, গার্লস গাইড কক্ষ, প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ, মিড ডে মিল কক্ষ ও সেমিনার কক্ষ।

২০১৮ সালে নেয়া প্রকল্পটির প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। পরে তা আরো দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি যা বৃদ্ধি করে আরো দু’বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :