নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা
প্রতিবছর এ সময়টাতে নদী ও সাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে রূপালি ইলিশ। তবে এবার ভোলার চরফ্যাশনের তেঁতুলিয়া নদীতে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না। মাঝে মাঝে দুই একটি বড় মাছ পাওয়া গেলেও অধিকাংশ সময় নদী থেকে খালি হাতে ফিরছেন জেলার। তাই হতাশায় বিভিন্ন মৎস্য ঘাটে অলস সময় পার করছেন জেলেরা।
শুক্রবার সরেজমিনে জেলেদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তেঁতুলিয়া নদীতে আগের মতো ইলিশ ধরা পড়ছে না। শুধু শুধু কষ্ট করতে হয় তাদের। এভাবে আর কত দিন চলবে। ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে পারছে না জেলেরা। অনেক কষ্টে চলছে তাদের জীবন। তাদের মধ্যে অনেক জেলে পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে। অনেক জেলে আবার সরকারি চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত।
গাছির খাল মৎস্য ঘাটের জেলে আ. রহিম, কুদ্দুস ও সামসুদ্দিন বলেন, আমরা ছোট ছোট নৌকা দিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরি। গত কয়েক বছর ধরে নৌকা ও জাল মেরামত করে বুক ভরা আশা নিয়ে নদীতে যাই মাছ ধরতে। যতবার গিয়েছি ততবার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে আমাদের। বিভিন্ন এনজিও থেকে ধার-দেনা করে মাঝি-মাল্লাদের বেতন চালিয়ে যাচ্ছি। সামনে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আসছে। কীভাবে সংসারের খরচ ও এনজিওর দেনা পরিশোধ করব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদী ও সাগরে নিরাপদ প্রজনন সময়ে ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ। তবে এবার তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে কম বিষয়টি অবগত আছি। যেসব জেলেরা অনিবন্ধিত রয়েছেন তাদেরকে নিবন্ধিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে যখন শুধু ইলিশ মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয় তখন সব জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়।
(য়াকাটাইমস/২২ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)